আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে গত রোববার থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২ শতাধিক। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ মুসলিমদের অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দিল্লি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির ব্রিজপুরির অরুণ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে স্কুলটির শতাধিক বই, খাতা, প্রশ্ন ও নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত পরীক্ষার কারণে এদিন দুপুরেই বাড়ি চলে গিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ফলে এ সময় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া স্কুলে আর কেউ ছিল না। অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যান তিনি।
অরুণ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ক্যাশিয়ার নীতু চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক এসেছিল। তাদের দেখে নিরাপত্তারক্ষী হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেই পাননি কী করতে হবে। নিজের জান নিয়ে কোনো রকমে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্কুলটিতে দমকলবাহিনী পৌঁছায়। তার আগ পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা স্কুলে ঢুকতে পারেননি দমকলকর্মীরা।তিনি আরও জানান, আমরা পুলিশকে ফোন করি এবং দমকলবাহিনীকেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানায়। কিন্তু সব জায়গায় ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি থাকায় কেউই ঠিক সময় স্কুল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি।