২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেরানি তৈরির উৎস না বানিয়ে মানবিক করা হবে’

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্কঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন নিয়ে ভাবছে সরকার। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেরানি তৈরির উৎস কিংবা কেরানি নির্ভর না বানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক মানবিক করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার ‘গিয়ার’ পরিবর্তন করা হবে। একটি কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী রাখা যাবে না। প্রয়োজনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, ‘তরুণরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। এখনো তরুণরাই দেশ গড়ার হাতিয়ার। আমরা এখন উন্নয়নের দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছি, আর থেমে থাকা যাবে না। যদিও আমাদের অনেক কিছুই কম রয়েছে। আমরা কম পয়সার রাষ্ট্র, তবু এ দেশ এগিয়ে যাবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের একটু গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে। মানবিক বিষয়গুলো আমরা অবহেলা করি না। এগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন—এগুলো পাঠ করতে হবে। কিন্তু যেহেতু পৃথিবীটা এখন প্রযুক্তিনির্ভর, প্রযুক্তি দিয়ে চলছে, এদিকে আমাদের এগোতে হবে। এ জন্য আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেরানিনির্ভর ও তৈরির উৎস হিসেবে না রেখে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ মানবিক বিষয় এবং টেকনিক্যাল (কারিগরি) বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছি। মানবিক বিষয়ের মধ্যে ফিজিক্স (পদার্থবিজ্ঞান), কেমিস্ট্রি (রসায়ন) এগুলোও অন্তর্ভুক্ত, কারণ মানুষের কল্যাণে যা, তাই মানবিক।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আরেকটি বিষয় সিরিয়াসলি (গুরুত্বসহ) চিন্তা করা হচ্ছে। কোনো কোনো কলেজে ১৫ থেকে ২০ হাজার শিক্ষার্থী থাকে। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষাবিদরা বলেন, আমাদের মতো অশিক্ষাবিদরাও (শিক্ষাবিদ নন) বলি, এত শিক্ষার্থী কীভাবে ম্যানেজ করা হয়। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চিন্তাভাবনা চলছে কীভাবে এ সংখ্যাকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা যায়।’
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপনারা সংখ্যা নির্দিষ্ট করুন—পাঁচ হাজার, সাত হাজারের বাইরে যাওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে নতুন কলেজ করব। প্রয়োজন হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করব। কিন্তু এক প্রতিষ্ঠানে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকা চলবে না।’ ফলে এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে,” যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদযাপনের আহ্বায়ক ইফতেখার আলম, জাকির হোসেন প্রমুখ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network