২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

খাদ্যদ্রব্য মজুদ প্রসঙ্গে যা বলে ইসলাম

আপডেট: মার্চ ২১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
আপডেট নিউজ:: অধিক মুনাফার আশায় খাদ্যদ্রব্য মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।এ ধরনের লোকের কোনো ইবাদত কবুল হয় না বলে হাদিসে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। মজুদকৃত দ্রব্য সরকার নিজের জিম্মায় নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অধিকারও রাখে।
আরো সহজ ভাষায় বলা যায়, খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য)। তবে অন্যান্য মাজহাবে হারাম করা হয়েছে।
এসম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, আল্লাহপাক তার ওপর দরিদ্রতা চাপিয়ে দেন। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর: ৫৫)।
 
অপর আরেকটি হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অভিশপ্ত। ‘ (ইবনে মাজাহ)।
এসম্পর্কে আরেকটি হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুদ রাখে, সে আল্লাহর জিম্মা থেকে বেরিয়ে যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২০৩৯৬)।
 
এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। তাই ইসলাম এ প্রকার কাজকে হারাম ঘোষণা করেছে।
ব্যবসায়িক পণ্য বিক্রি না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বর্ধিত মুনাফা আদায়ের প্রচেষ্টা শুধু ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি বরং এটি একটি সামাজিক অপরাধ।
এসম্পর্কে আরো একটি হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অপরাধী। (আল মু’জামুল কাবির : ১০৮৬)।
তবে গুদামজাত পণ্য যদি মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু না হয় কিংবা মানুষ এর মুখাপেক্ষী না হয় অথবা এসব পণ্য চাহিদার অতিরিক্ত হয় বা গুদামজাতকারী বর্ধিত মুনাফা অর্জনের অভিলাষী না হয়, তাহলে এসব অবস্থায় পণ্য মজুদ রাখা অবৈধ নয়।
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network