১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

গৌরনদী সরিকলে বাজারে হঠাৎ চাউল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি- প্রশাসন দৃষ্টি দিন

আপডেট: মার্চ ২১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

গৌরনদী সরিকলে বাজারে হঠাৎ চাউল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি- প্রশাসন দৃষ্টি দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। দেশে সবাই যখন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত ও প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে যাওয়া নিষেধ করা হচ্ছে ঠিক তখনেই হঠাৎ করে চাউল ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।  ৪/৫ দিনের ব্যবধানে হু-হু করে বাড়ছে চাউল ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে বলে দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে পণ্যসংকট হবে—এমন আতঙ্কে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্য মজুত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বেশি দাম রাখায় কোনো কোনো ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন। অনেক বাজারে পণ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। ৪০ টাকা দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

গৌরনদীতে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গৌরনদী, টরকী বন্দর, সরিকল বাজার, মাহিলাড়া,বাটাজোড়া, বাবুগঞ্জে অাগরপুরে একই অবস্থা।  হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার কেনার হিড়িকের পর এবার শুরু হয়েছে বিপুল পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটা। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। আর পেঁয়াজে বেড়েছে খুচরা বাজারে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামেও চালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মিলের মালিকেরা ধানের সংকট দেখিয়ে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। বোরো না ওঠা পর্যন্ত চালের বাজার স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না।

বাজারের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা। কেউ দরদামের তোয়াক্কা করছেন না। সবাই চাইছেন বাড়তি চাল, ডাল, নিত্যপণ্য। দাম যা–ই হোক, তাতে কিছু যায়–আসে না। পরিস্থিতি এমন যেন মহাদুর্যোগকে সামনে রেখে সবাই ব্যস্ত আগামী কয়েক মাসের খাবার কিনে মজুত করতে। দোকানিরাও গলদঘর্ম। দোকানগুলোয় কদিন আগেও এক কেজি আলুর দাম ছিল ছিল ১৫ থেকে ১৮ টাকা। গত শুক্রবার  তা এক লাফে ৩০ টাকা হয়ে গেছে। দর-কষাকষির কোনো সুযোগ নেই।

একটি দোকানে দেখা গেল, একজন ক্রেতা আলু–আটার দাম নিয়ে দোকানিকে প্রশ্ন তুলেছেন। দোকানি অনেকটা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আপনার না পোষালে মাল রেখে চলে যান। অন্য দোকান থেকে কিনুন।’ পাশের দোকানে আবার অনেক ক্রেতা প্রশ্ন ছাড়াই সেসব পণ্য বেশি দামে কিনে নিচ্ছেন। কিনতে পেরে তাঁদের মুখে স্বস্তিও দেখা গেল।

স্হানীয় ক্রেতারা ও বাজার কমিটি  জানান, সরিকলে  প্রতি মঙ্গলবার – শুক্রবার হাট চলাকালীন প্রশাসন যেন দৃষ্টি দেয়। আমাদের একটা ই দাবি অসাধু ব্যবসায়ীদের যেন ব্যবস্হা নেয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network