আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২০
পবিত্র আল কোরআনকে মহান আল্লাহ মানব জাতির হিদায়াত ও জীবন বিধান হিসেবে নাজিল করেছেন। এই মহামূল্যবান গ্রন্থের দ্বিতীয় সুরা আল বাকারার ২৫৫তম আয়াত হলো আয়াতুল কুরসী। এ আয়াতটিতে ১০টি বাক্য রয়েছে। যার প্রত্যেকটিতে আল্লাহর ক্ষমতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে মানব জাতির অনেক কল্যাণ সাধিত হয়, বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে বাঁচা যায়।
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। [সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪]
হজরত আলী (রা:) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বলতে শুনেছি- যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বাইহাকী]
শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে। (বুখারি) হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত: রাসুল (সা.) বলেছেন: সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুস্তাদরাকে হাকিম:২১০৩]
আবূ হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আনহু) বলেছেন, রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সূরা আল বাক্বারায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআনের অন্য সব আয়াতের সর্দার বা নেতা। সে আয়াতটি যে ঘরে পড়া হয়, তা থেকে শয়তান বেরিয়ে যায়। [তাফসীর মা’ আরেফুল কুরআন-১ম খণ্ড, পৃ: ৬৭৬]
মুসলিম সমাজে আয়াতুল কুরসি নিয়ে আরেকটি কথা প্রচলিত আছে, তাহলো কোথাও যাওয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসি পড়ে বের হলে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।