আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২০
অনলাইন ডেস্কঃ প্রয়োজন ছিল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সব যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে তারপর ছুটি অথবা জরুরি অবস্থা জারি করা। কিন্তু সরকার করল উল্টোটা। গতকাল ছুটি ঘোষণা করায় রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড আর লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়। মানুষ ঈদের আনন্দে ১০ দিনের ছুটি উপভোগ করতে বাড়ির পথ ধরে! অথচ, সরকার এই ছুটি ঘোষণা করেছে সবাই যাতে ঘরে থাকে।এতে করোনাভাইরাস ছড়াবে না। কিন্তু বীর বাঙালি এই কথা বোঝেও না, আর বুঝলে মানতেও চায় না।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঠেকাতে সামাজিক দেখা সাক্ষাত বন্ধ করতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ঘরে বসে থাকাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক নেই। এদিকে বাংলাদেশের কিছু ভণ্ড হুজুর মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, যাতে তারা এসব সতর্কতা না মানে। পাশাপাশি এদেশের কথিত শিক্ষিত মানুষ মোটেও সচেতন নন। তারা আগের মতোই ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন। সরকারের ছুটি উপভোগ করতে গ্রামে যাচ্ছেন। এই দেশে করোনা পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। তখন ওইসব ভণ্ড হুজুর কিংবা কথিত শিক্ষিতদের খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি আন্তঃনগর এবং লোকাল ট্রেনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সবাই গ্রামে যাচ্ছে। দেখে মনে হয় ঈদ লেগেছে। অথচ, এইসব লক্ষ মানুষের মাঝে করোনা আক্রান্ত যারা আছেন, তারা তো ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীর মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে দিলেন! সবাই গ্রামে গিয়ে ঘুরেফিরে বেড়াবে। তাদের থেকে প্রথমে পরিবার এবং পরে প্রতিবেশীরা আক্রান্ত হবে করোনায়। করোনা মোকাবেলায় ২ মাস সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবাই জেনে গেছে, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করতে হবে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষই তা মানছে না!