অনলাইন ডেস্কঃ দিনাজপুরের বিরলে রূপালী বাংলা জুট মিলে অগ্রিম বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে এক পান দোকানদার নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আরো তিন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ দুইজনকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং একজনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত পান দোকানদারের নাম সুরত আলী। তিনি বিরল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হুসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্রমিক রাজ কুমার,রায়হান ও ইব্রাহীম। এদের মধ্যে রাজ কুমারকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এবং রায়হান ও ইব্রাহীমকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
মিলের মালিক বিরল উপজেলার আব্দুল লতিফ। করোনা‘র কারণে মিল বন্ধ হয়ে যাবে এমন খবরে বিকেল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় মিল কর্তৃপক্ষ পুরো বকেয়া বেতন দিতে গড়িমসি শুরু করে। শ্রমিকদের কারো চার সপ্তাহের কারো তিন সপ্তাহের বেতন বকেয়া রয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষ পাঁচ দিনের বেতন দিতে চায়, আর শ্রমিকরা মিল বন্ধের আগে পুরো বকেয়া বেতন চায়। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মালিক পক্ষ কোনো বেতন দেবেন না বলে জানালে শ্রমিকরা রাত ৮টার দিকে ভাঙচুর শুরু করে। মালিকপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনা স্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সুরত আলী মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয় আরো তিনজন। পুলিশের লাঠিচার্জে আরো ১৫ শ্রমিক আহত হয়।
বিরল থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।