১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কারখানা খোলা রাখা যেতে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্কঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শিল্প কারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখা যেতে পারে।

বুধবার সকালে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা আয়োজিত এক জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই জরুরি সভা ডাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন টিপু মুনশি।

উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমই-এর সভাপতি ড. রুবানা হক, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণাকরেছেন, তা অনুদান নয়। রপ্তানিমূখী শিল্প এই প্যাকের অধীনে ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনগণকে ঘরে থাকার বিষয়ে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা দরকার।সরকার জনগণকে অনুরোধ জানাচ্ছে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হবে।

সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী কাজ করছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর আরও সদস্য মাঠে নামানো হবে। করোনা মোকাবিলায় যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ওইদিন থেকেই মাঠ প্রশাসেনকে সহায়তা করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী।

বৈঠকে উপস্থিত একজন ব্যবসায়ী জানান, জরুরি প্রয়োজনে কিছু কারখানা খোলা রাখা দরকার। কিন্তু একই জায়গায় বেশি লোকসমাগম থেকে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে বা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য কারখানা মালিকরা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার সকল ব্যবস্থার পাশাপাশি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে প্রস্তুত। এরপরও শ্রমিক-কর্মীদের শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের উদ্যোগে সরকারের সহায়তা দরকার।

পরে বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সকলে একমত হন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network