বরিশালে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরবন্দি হওয়া মানুষদের জন্য সরকারী বেসরকারী নানান সংস্থা ত্রাণ নিয়ে মাঠে সরব। ফটোসেশন আর মিডিয়া কভারেজে যেন অন্য নিউজ এখন চোখে পড়া দায়। কেউবা রাতের আধারে দিয়ে মিডিয়ায় হিরো সাজছেন। এত দানবীরের ভীড়ে আত্মসম্মানওয়ালা মধ্যবিত্তরা কিন্ত চরম খাদ্যকষ্টে ভুগছেন। কোথাও গিয়ে লাইনে দাড়াতে পারছেননা, বাসায় এলে ক্যামেরার সামনে সাহায্য নিতে পারছেননা । আর এ কারণে এসব দানবীররা এদেরকে অনেকটা এড়িয়েই চলছেন। কারন ছবি না তুললে ত্রাণ দিয়ে লাভ কি ? মিডিয়া কভারেজ না হলে টাকাই বৃথা !
দেশের এই ক্রান্তিকালে এমন হিরো হওয়া কিংবা সাজাটা কি বেশী জরুরী ? প্রকৃত মনবতা ও সামাজিক দায়ে কি তাদের কিছুই করার নেই ? তাহলে তারা মসনদে বসলে বদ্ধ কক্ষে বসে সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কিভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ?
এমন কিছু চিত্র নিয়ে সম্প্রতি বরিশাল বাণীতে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেটি ছিল একটি এলাকার চিত্র। তেমন চিত্র মূলত অনেক এলাকায়ই বিদ্যমান। কিন্তু মিডিয়া কভারেজ না পাওয়ার শঙ্কায় কিংবা অজানা কোন কারনে এগিয়ে আসেননি সরকারী বেসরকারী কিংবা কোন ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা। আমরা আশা করবো নিশ্চই কেউ কেউ এমন দেশপ্রেমিক আছেন যার ছবি কিংবা মিডিয়া কভারেজ জরুরী নয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসবেন তারা।
পাঠকের সুবিধার্থে সেই নিউজটি নিম্নে হুবহু তুরে ধরা হলো…….
বরিশাল চাঁদমারীতে খাদ্যকষ্টে ভুগছে বেশ কয়েকটি পরিবার
আপডেট নিউজ : করোনা সংক্রমণের প্রভাবে ঘরবন্দি মানুষদের খাদ্যাভাব পূরণে বরিশালে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। বিসিসি মেয়র, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন সহ অনেক বিত্তবানরা এগিয়ে এসেছেন।
এর মাঝেও নগরীর চাঁদমারী মাদ্রাসা সড়কে বেশ কয়েকটি পরিবার খাদ্যকষ্টে ভুগছে। নিজেদের আয় উপার্জন বন্ধ থাকা এবং বাহির থেকেও কোন ত্রাণ না পৌছায় তারা অনেকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বরিশাল বাণী’র কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন ঐ এলাকার বাসিন্দা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কবি সিবলু মোল্লা। তিনি মেয়র ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রয়োজনে সিবলু মোল্লা তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার 01731289934 তে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।