আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২০
[১] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাও আছেন
নাঈমুল ইসলাম খান : [২] তাদেরই কেউ কেউ দুর্নীতি/অনিয়ম দেখলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। লিখিতভাবে অথবা ন্যূনপক্ষে মৌখিকভাবে অবহিত করেন।
[৩] সৎ কর্মকর্তারা জনস্বার্থে বাটপার প্রভাবশালী সাহেদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে RAB কে অভিহিত করেন।
[৪] নিবেদিত সৎ কর্মকর্তারা নানান বাহানা ও কৌশলে সাহেদের মতো দুর্নীতিবাজরা যেন অবৈধ ভাবে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা তুলে নিতে না পারে সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
[৫] সৎ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের নাম পরিচয় প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও শক্তিশালী সিন্ডিকেটের আক্রোশে পড়ার ভয়ে।
[৬] মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের ‘হুইসেল ব্লোয়ার’দের সুবাদে মিডিয়ায় দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদন উন্মোচনের ফলে অবৈধ টাকা অনেক ক্ষেত্রেই লুটেরারা উত্তোলন করতে সক্ষম হননি।
[৭] গণমাধ্যম যখন নির্বিচারে ঢালাও অভিযোগ আর ভুল তথ্যে সস্তা সমালোচনায় হুলস্থুল করে তখন অন্যান্য ক্ষেত্রে ন্যয় বিচার দুরুহ হয়ে পড়ে।
[৮] এই হই-হট্টগোলে ‘ভিকটিম অফ সারকামস্টেন্সেস’ হয়ে পড়েন একজন সৎ সাহসী উদ্যোগী কর্মকর্তা। এত ঝামেলার মধ্যে কারও কারও ন্যায্য পদোন্নতির ফাইল আটকে যায়। বাজে বদলী হয়ে যায়। এমনকি ‘গিলটি বাই অ্যাসোসিয়েশন’ হওয়ারও আশংকাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
[৯] একই সময়ে ঘোলা জলে, সবার দৃষ্টির আড়ালে মাছ শিকার করতেই থাকেন অসৎ দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা।
[১০] ঢালাও অভিযোগের বহু দূরে নিরাপদে থাকেন সবচেয়ে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ ও দুষ্ট রাজনীতির কলকাঠি যারা নাড়েন। যাদের কারণে দুর্নীতি চলতেই থাকে।