আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২৪
ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক দুই আসামি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় চার কেজি ২৫ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বারসহ দুজন পাচারকারী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিমের হাতে আটক হয়েছে। বুধবার (৩১শে জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে দর্শনা পৌরশহরের কাঁচামালের আড়ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- দর্শনা থানাধীন শ্যামপুর গ্রামের মৃত রহেল মণ্ডলের ছেলে মো. রেজাউল ইসলাম (৪৬) এবং একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. ইস্রাফিল হোসেন (৩৬)।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদের তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে দর্শনা হঠাৎপাড়া রেলক্রসিংয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করছিলেন। এসময় একটি মোটরসাইকেল ডিবি পুলিশ দেখে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যেতে থাকলে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করে দুপুর পৌনে ২টার দিকে দর্শনা কাঁচামাল আড়ত এলাকায় মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করা হয়। এসময় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অবৈধভাবে চোরাইপথে স্বর্ণের বার পাচারের কথা স্বীকার করে। পরে আটক রেজাউল ইসলামের দেহ তল্লাশি করে কোমরে নীল রংয়ের কাপড় দিয়ে বেল্ট আকারে তৈরি বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বারের মোট ওজন চার কেজি ২৫ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এসময় চোরাচালান পণ্য পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি লাল কালো রংয়ের ১৫০ সিসি সিবিজেড মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা রুজু এবং জব্দকৃত স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।