অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
ড.হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা লক্ষ করেছি যখনই দেশে কোনো বিপর্যয়, সঙ্কট সৃষ্টি হয় বা কোনো দুর্যোগ সৃষ্টি হয়, তখনই একটি কুচক্রী মহল ও কিছু লোক গুজব ছড়াতে লিপ্ত থাকে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। এসব বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় এই গুজব ছড়ানোর দায়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য অধিদফতরও গুজবের বিরুদ্ধে নজর রাখছে। তাই কেউ গুজবে লিপ্ত হবেন না।
বিদেশে থেকেও কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা কেউ কেউ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা লিপ্ত আছেন। তারা হয়তো মনে করছেন বিদেশে রয়েছেন বলে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, তাই সরকার নাগরিক হিসেবে আইনগতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই যারা বিদেশে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা জনগণের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের লক্ষ্য জনগণ যাতে সঠিক তথ্য পায় এবং জানতে পারে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি তৈরি হয় এমন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ সময় তিনি কেবল নেটওয়ার্ক যাতে কোথায় কোনো সংযোগের ব্যত্যয় না ঘটে এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করার আহ্বান জানান। কোথাও ব্যত্যয় হলে তা দ্রুত সমাধান করার নির্দেশনা দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা ও সব মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সরকারের রেডিও-টেলিভিশন এবং তথ্য অধিদফতরের গণযোগাযোগ অধিদফতর জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত। সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবা জন্য আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালু আছে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সব প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।