আপডেট: জুন ৫, ২০২০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সুলতান, মির্জাগঞ্জ পটুয়াখালীঃ
তিন বছর আগে চান মিয়ার মেয়ে মাহফুজার সাথে তাদের পার্শ্ববর্তী (উওর ভিকাখালী)গ্রামের কাদের গাজীর ছেলে জুলহাস গাজীর সাথে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের এক বছর পরেই চান মিয়ার মেয়ে (মাহফুজা বেগম) জুলহাস গাজীকে তালাক দেয়। এরপর স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে আর নির্যাতন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জুলহাস গাজী মাহফুজা বেগমকে আবারও বিয়ে করে এবং তার উপর আরও বেশি নির্যাতন চালায়। তাই গত নয় মাস আগে মাহফুজা বেগম আবারও জুলহাস গাজীকে তালাক দেয়। মাহফুজা বেগম তার স্বামী জুলহাস গাজীর ভয়ে নিজ বাড়িতে না থেকে গত নয় মাস ধরে তার নানা বাড়িতে থেকে আসছে।
গত ২৩ মে নিজের বাবা মায়ের সাথে ঈদ করার জন্য সে নিজ বাড়িতে আসে। জুলহাস গাজী এই খবর পেয়ে গত ৪ জুন রাত ৯ টার দিকে মাহফুজাকে জোর করে তুলে নিতে আসলে মাহফুজার বাবা-মা বাধা দেয়। এরপর জুলহাস এবং তার সহযোগীরা মাহফুজার বাবা মোঃ চাঁন মিঞা তার মা জাহানারা বেগম এবং তাদের রক্ষা করতে আসা আলমগীর হাওলাদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আহতের অবস্থা খারাপ দেখে সেখানকার ডাক্তার তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন এবং তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তারা ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ঐ রাতেই জুলহাস গাজী সহ মোফাজ্জেল হাং এবং খোকন হাং সহ আরও কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। এরপর মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন এবং আসামিদের গ্রেফতাদের প্রতিশ্রুতি দেন।