১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোরআন হাদিসের আলোকে

আপডেট: জুন ২৬, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

পিতা-মাতার প্রতিই সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সর্বাধিক। যে পিতা-মাতার কারণে একজন সন্তান পৃথিবীতে ভুমিষ্ঠ হয়। রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পিতা-মাতার মর্যাদা অনেক উপরে দিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজের অধিকারের পরই পিতা-মাতার অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ إِن تَكُونُواْ صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلأَوَّابِينَ غَفُورًا

‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারু উপাসনা করো না এবং তোমরা পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহলে তুমি তাদের প্রতি উহ্ শব্দটিও উচ্চারণ করো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না। তুমি তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলো’। ‘আর তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের প্রতি দয়া কর যেমন তারা আমাকে শৈশবে দয়াপরবশে লালন-পালন করেছিলেন’। ‘তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যা আছে তা ভালভাবেই জানেন। যদি তোমরা সৎকর্ম পরায়ণ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল’ (সূরা: বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৩-২৫)।

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ স্বীয় ইবাদতের সঙ্গে পিতা-মাতার সেবাকে একত্রিতভাবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে এটিকে তাওহীদ বিশ্বাসের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ বুঝানো হয়েছে। এর কারণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে যেমন আল্লাহর কোনো শরীক নেই, জন্মদাতা হিসেবে তেমনি পিতা-মাতারও কোনো শরীক নেই। আল্লাহর ইবাদত যেমন বান্দার ওপর অপরিহার্য, পিতা-মাতার সেবাও তেমনি সন্তানের ওপর অপরিহার্য। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ ‘অতএব তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (মনে রেখ, তোমার) প্রত্যাবর্তন আমার কাছেই’ (সূরা: লোকমান, আয়াত: ৩১/১৪)। এখানেও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতাকে সমভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উপরোক্ত আয়াতে وَقَضَى رَبُّكَ ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন’। এই আদেশ অর্থ ‘চূড়ান্ত ফায়সালা’। কেননা আল্লাহর ইবাদতের ফায়সালা যেমন চূড়ান্ত, পিতা-মাতার সেবা করার ফায়সালাও তেমনি চূড়ান্ত। এই সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন বা নড়চড় নেই। যেমন অন্যত্র এসেছে,قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ ‘তোমরা যে বিষয়ে জানতে আগ্রহী, তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে’ (সূরা: ইউসুফ ১২/৪১)।

যাকারিয়া বিন সালাম বলেন, জনৈক ব্যক্তি হাসান বাসরী (রহ.) এর নিকট এসে বলল, আমি আমার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছি। জবাবে তিনি বললেন, তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করেছ। লোকটি বলল, আমার ওপর এটিই আল্লাহ আদেশ করেছেন। তখন হাসান বাসরী (রহ.) বললেন, আল্লাহ তোমার ওপর এটি আদেশ করেননি। বলেই তিনি অত্র আয়াতের প্রথমাংশটি পাঠ করলেন’ (কুরতুবী)। কারণ إِنَّ اللهَ لاَ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ ‘আল্লাহ কখনো ফাহেশা কাজের আদেশ করেন না’ (সূরা: আরাফ ৭/২৮)। অনুরূপভাবে وَلاَ يَرْضَى لِعِبَادِهِ الْكُفْرَ ‘তিনি বান্দার কুফরীর ওপরে সন্তুষ্ট হন না’ (সূরা: যুমার ৩৯/৭)। অতএব, অত্র আয়াতে ‘আদেশ করেছেন’ অর্থ ‘ফায়সালা করেছেন’।

(১) পিতা-মাতার শরীয়াত বিরোধী আদেশ ব্যতীত সবকিছু মানতে হবে:

আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ‘আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পার্থিব জীবনে তাদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলবে’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৫)। এখানে শিরক বলতে আল্লাহর সত্তার সঙ্গে অন্য কিছুকে শরীক করা। একইভাবে আল্লাহর বিধানের সঙ্গে অন্যের বিধানকে শরীক করা বুঝায়। ধর্মের নামে ও রাষ্ট্রের নামে মানুষের মনগড়া সব বিধান এর মধ্যে শামিল। অতএব, পিতা-মাতা যদি সন্তানকে পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসের বাইরে অন্য কিছু করতে চাপ দেন, তবে সেটি মানতে সন্তান বাধ্য নয়। কিন্তু অন্য সব বিষয়ে সদাচরণ করবে।

মুছ‘আব বিন সা‘দ তার পিতা সা‘দ বিন খাওলা হ’তে বর্ণনা করেন যে, আমার মা একদিন আমাকে কসম দিয়ে বলেন, আল্লাহ কি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দেননি?فَوَاللهِ لاَ أَطْعَمُ طَعَاماً وَلاَ أَشْرَبُ شَرَاباً حَتَّى أَمُوتَ أَوْ تَكْفُرَ بِمُحَمَّدٍ ‘অতএব, আল্লাহর কসম! আমি কিছুই খাবো না ও পান করবো না, যতক্ষণ না মৃত্যুবরণ করব অথবা তুমি মুহাম্মাদের সঙ্গে কুফরী করবে’ (আহমাদ হা/১৬১৪)। ফলে যখন তারা তাকে খাওয়াতেন, তখন গালের মধ্যে লাঠি ভরে ফাঁক করে তরল খাদ্য দিতেন। এভাবে তিন দিন পর যখন মায়ের মৃত্যুর উপক্রম হলো, তখন সূরা আনকাবূত ৮ আয়াত নাজিল হলো, وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا وَإِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلاَ تُطِعْهُمَا إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ- ‘আর আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা পিতা-মাতার সঙ্গে (কথায় ও কাজে) উত্তম ব্যবহার করে। তবে যদি তারা তোমাকে এমন কিছুর সঙ্গে শরীক করার জন্য চাপ দেয়, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে তুমি তাদের কথা মান্য করো না। আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর আমি তোমাদের জানিয়ে দেব যেসব কাজ তোমরা করতে।’ (সূরা: আনকাবূত ২৯/৮)।

(মুসলিম হা/১৭৪৮; আহমাদ হা/১৫৬৭, ১৬১৪; তিরমিযী হা/৩১৮৯; মিশকাত হা/৩০৭১ (কেবল ‘অসিয়ত’ অংশটুকু) ‘অসিয়ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, মা বললেন, তুমি অবশ্যই তোমার দ্বীন ছাড়বে। নইলে আমি খাব না ও পান করব না, এভাবেই মরে যাব। তখন তোমাকে লোকেরা তিরষ্কার করে বলবে, يَا قَاتِلَ أُمِّهِ ‘হে মায়ের হত্যাকারী’! আমি বললাম, يَا أُمَّاهُ! لَوْ كَانَتْ لَكِ مِائَةُ نَفْسٍ، فَخَرَجَتْ نَفْسًا نَفْسًا مَا تَرَكْتُ دِينِي هَذَا فَإِنْ شِئْتِ فَكُلِي، وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَأْكُلِي ‘হে মা! যদি তোমার একশ’টি জীবন হয়, আর এক একটি করে এভাবে বের হয়, তবুও আমি আমার এই দ্বীন ছাড়ব না। এখন তুমি চাইলে খাও, চাইলে না খাও! অতঃপর আমার এই দৃঢ় অবস্থান দেখে তিনি খেলেন। তখন অত্র আয়াত নাজিল হলো। সা‘দ (রা.) বলেন, আমার কারণে এভাবে মোট ৪টি আয়াত নাজিল হয়েছে।

(কুরতুবী হা/৪৮৪৯, ৪৮৫০; তিরমিযী হা/৩১৮৯, হাদিছ সহিহ; ওয়াহেদী হা/৬৭০ সনদ হাসান, মুহাক্কিক কুরতুবী। বস্ত্তত: এমন ঘটনা সব যুগে ঘটতে পারে। তখন মুমিনকে অবশ্যই দুনিয়ার বদলে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(২) মুশরিক পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ:

(ক) আসমা বিনতে আবুবকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মুশরিক মা আমার কাছে এসেছে। আমি কি তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সদ্ব্যবহার কর’। (বুখারী হা/৩১৮৩; মুসলিম হা/১০০৩; মিশকাত হা/৪৯১৩)। ইবনু হাজার (রহ.) বলেন, ঘটনাটি ছিল হোদায়বিয়া সন্ধি থেকে মক্কা বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কার। যখন তিনি তার মুশরিক স্বামী হারেছ বিন মুদরিক আল-মাখযূমীর সঙ্গে ছিলেন (ফাতহুল বারী)।

(খ) আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমার মা ছিলেন মুশরিক। একদিন আমি তার নিকটে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি আমাকে রাসূল (সা.) সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলেন, যা আমার নিকট খুবই অপসন্দনীয় ছিল। তখন আমি রাসূল (সা.) এর নিকট গিয়ে কাঁদতে লাগলাম এবং তার হেদায়াতের জন্য দোয়া করতে বললাম। অতঃপর তিনি দোয়া করলেন। এরপর আমি বাড়িতে ফিরে এসে দরজা নাড়লে ভেতর থেকে মা বলেন, তুমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। তারপর তিনি গোসল সেরে পোষাক পরে দরজা খুলে দেন এবং কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করে তার ইসলাম ঘোষণা করেন। (মুসলিম হা/২৪৯১; মিশকাত হা/৫৮৯৫)।

(৩) পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ যে কারণে করবে:

আল্লাহ বলেন,وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ- ‘(আল্লাহ বলেন,) আর আমরা মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে। অতএব, তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (মনে রেখ, তোমার) প্রত্যাবর্তনস্থল আমার কাছেই’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৪)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاَثُونَ شَهْرًا- ‘আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য। তার মা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে কষ্টের সঙ্গে এবং প্রসব করেছে কষ্টের সঙ্গে। তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ পান ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস’ (সূরা: আহক্বাফ ৪৬/১৫)। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, গর্ভ ধারণের সর্বনিম্ন মেয়াদ ছয় মাস (কুরতুবী)। কেননা বাচ্চাকে দু’বছর যাবৎ বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মায়েদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন,وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ- ‘জন্মদানকারিনী মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায়’ (সূরা: বাকারাহ ২/২৩৩)।

মানুষ তার পিতা-মাতার মাধ্যমেই দুনিয়াতে এসেছে। অতএব, তারাই সর্বাধিক সদাচরণ পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহ বলেন,هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا- إِنَّا خَلَقْنَا   الْإِنْسَانَ مِنْ نُطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا- ‘নিশ্চয়ই মানুষের ওপর যুগের এমন একটি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না’। ‘আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি (পিতা-মাতার) মিশ্রিত শুক্রবিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। অতঃপর আমরা তাকে করেছি শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (সূরা: দাহর ৭৬/১-২)।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network