আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার: বাড়িওয়ালা দেশের বাহিরে থাকায় কেয়ারটেকারের মাধ্যমে বাসাভাড়া নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি বাড়ির কেয়ারটেকার পরিবর্তন হলে দেখা দেয় জটিলতা। পূর্বের কেয়ারটেকার ২য় তলার ভাড়াটিয়া মমতাজ বেগম আশা (৭০) অবৈধভাবে এখনো ভাড়া তোলার চেস্টা করে যাচ্ছেন। দু’জন ব্যক্তি নিজেকে কেয়ারটেকার দাবি করায় ভাড়াটিয়ারা পড়েযান দ্বিধাদ্বন্দ্বে। বন্ধ করে দেন বাসা ভাড়া দেওয়া। আর এতে বিপাকে পড়েন বাড়িওয়ালা। অবশেষে এই অচলাবস্থা কাটাতে চার ভাড়াটিয়াকে উকিল নোটিশ প্রদান করেন নগরীর ব্যাপ্টিষ্টমিশন রোডের ‘আকন ভিলা’র মালিকপক্ষ। এতে বাড়ির মালিক কবির হোসেন শহীদ আকনের পক্ষ থেকে বলা হয় বর্তমান নিযুক্ত কেয়ারটেকার মহিউদ্দিন আকন। তাই তার কাছে বাসাভাড়া প্রদান ও বাড়ির সুবিধা-অসুবিধা আলোচনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যথায় বাসা ছেড়ে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হতে পারে।
এরপূর্বে গত ৯জুলাই বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নং- ৩৮১। আকন ভিলার মালিক কবির আকনের ভাই মহিউদ্দিন আকন জিডিতে উল্লেখ করেন, উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামের মৃত আবু বক্কর দেওয়ানের মেয়ের সাথে টরকী গৌরনদী উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে কবির হোসেন আকন এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই কবির হোসেন হল্যান্ড ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। সেই সুবাদে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। কবির হোসেন আকন বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার জে এল নং- ৫০ মৌজা- বগুড়া আলেকান্দা এস, এ ৮৫৪৮, খতিয়ান হাল-৫৮৪৭ এ ২ ইউনিটের ভবন নির্মাণ করে। সে ভবনে কবিরের শাশুড়ী মমতাজ বেগম আশা (৭০) বসবাস করতো এবং বাড়ী ভাড়া উত্তোলন দায়িত্ব ছিল তার। কবির হোসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশে এসে শাশুড়ীর কাছে বাড়ী ভাড়ার হিসেব বুঝে নিতে চাইলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও মামলায় জড়ানো হুমকি দিয়ে তার নিজ ভবন থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন স্ত্রী তালাক প্রদান করে কবিরকে। তালাক প্রদানের পরেও বাড়ী ছাড়ছে না শাশুড়ী। এরপর ৬ জুলাই প্রবাসী কবিরের অনুরোধে ভাই মহিউদ্দিন আকন ও খালাত ভাই রফিক সহ পরিবারে কয়েকজন সদস্য মিলে ভাড়া উত্তোলন করতে গেলে তাদেরকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে এবং খুন-যখমের হুমকি দিয়ে ধারালো দা নিয়ে তেড়ে আসে। ভয় সেখান থেকে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এছাড়াও প্রবাসী কবিরের খালাত ভাই মানসু আলী রফিককে ০১৭১২৫৭০৮২৮ নম্বর দিয়ে ফোন করে মমতাজ বেগম আসার ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে বরিশাল এলাকা ছাড়া করবে এবং খুন-গুম চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করছে।