১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

যে একটি কাজ জুমার দিন করা আবশ্যক

আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমার দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এটি। এই দিনের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ। এমনকি নামাজের প্রস্তুতিতে অনেক কাজই উত্তম। মুমিন মুসলমানের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যেমন ফরজ। তেমনি জুমার দিনের নামাজ মুমিন মুসলমানের জন্যও ফরজ।

এই ফরজ নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে প্রিয় নবী (সা.) প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য একটি কাজ করাকে আবশ্যক বলেছেন। তা হলো জুমার দিন গোসল করে মসজিদে যাওয়া। এই সম্পর্কে হাদিসের একাধিক বর্ণনা পাওয়া যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে আসলে সে যেন গোসল করে। (বুখারি)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় নবী করিম (সা.) এর প্রথম যুগের একজন মুহাজির সাহাবি (মসজিদে) আসলেন।

ওমর (রা.) তাকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসতে পারিনি। এমন সময় আজান শুনে শুধু অজু করে নিলাম। ওমর (রা.) বললেন, কেবল অজুই? অথচ আপনি জানেন যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) (জুমার নামাজ পড়তে আসতে) গোসলের নির্দেশ দিতেন। (বুখারি)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে প্রত্যেক সাবালক তথা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য গোসল করা ওয়াজিব বা আবশ্যক। (বুখারি)

জুমার নামাজ মুমিন মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। এই দিন ইমামের খুতবা শোনা যেমন জরুরি, তেমনি ইমামের পেছনে দুই রাকাত জামাতে নামাজ পড়তে দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়াকেও ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণাও এমনই। তিনি বলেন-

হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ধাবিত হও আর বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা আল-জুমুআ : আয়াত ৯)

আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে যার যার হাতের কাজ শেষ না করেই আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু মসজিদের দিকে ইবাদতের জন্য আসার নির্দেশ দিয়েই শেষ করেননি। বরং নামাজের পর করণীয় উল্লেখ করে তা থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা আল্লাহর জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা আল-জুমুআ: আয়াত ১০)

অর্থাৎ আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে যারা হাতের কাজ রেখে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে চলে এসেছেন, তাদের জন্য নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যার যার কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য রিজিকের অনুসন্ধান করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সুতরাং নামাজের অজুহাতে দিনভর মসজিদে বসে থাকারও কোনো সুযোগ নেই। হালাল রিজিকের অনুসন্ধান এবং প্রয়োজনীয় কাজে জমিনে বের হয়ে যাওয়া মহান রবের নির্দেশ।

মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে গোসল করে নেয়া। সপ্তাহিক ইবাদতের বিশেষ দিনে কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে যাওয়ার আগে হাদিসের উপর আমল করতে প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য গোসল করা জরুরি।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন গোসল করার তাওফিক দান করুন। জুমার দিনের অন্যান্য আমলগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network