২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

করোনা মহামারির সুনামিতুল্য ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত ভারতবাসীর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

[১] করোনা মহামারির সুনামিতুল্য ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত ভারতবাসীর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা
আমরা প্রার্থনা করি তাদের এই মহাদুর্যোগ অচিরেই কেটে যাবে।

নাঈমুল ইসলাম খান: [২] এই সময়ে ভারতের জনগণের পাশে দাড়ানো আমাদের সৎ এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব। বাংলাদেশ ভারতীয় জনগণের এই দুঃসময়ে বিশেষ সাহায্য করার সামর্থ্য রাখে না কারণ আমরাও খুবই সীমিত সাধ্য নিয়ে করোনার সাথে এক অসম যুদ্ধে পেরেশান।
[৩] তারপরও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমার প্রস্তাব, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ে ভারতের করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্য জরুরি কিছু সাহায্য সামগ্রী ধার হিসেবে পাঠানো। যেমন ১০০ বা ২০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর অথবা হাইফ্লোনাজাল ক্যানোলা। তার সাথে বাংলাদেশে উৎপাদিত করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কিছু সামগ্রী যেমন গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদিও যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব, ভারতের জনগণের জন্য শুভেচ্ছা স্মারক উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
[৪] ভারতে বর্তমানে করোনা যে নজিরবিহীন মানবিক বির্পযয়কর আঘাত হেনেছে এই সময়ে এই পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য তদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেন, যেটা হয়তো বাংলাদেশ থেকে পাঠানো সম্ভব নয়। যদি পাঠানো সম্ভব হয়, সেটাও বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি।
[৫] ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বল্প মেয়াদে বা তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ভ্যাকসিনের তেমন কোনো ভূমিকা নেই, কারণ করোনা ভ্যাকসিন, করোনার ঔষধ নয়, চিকিৎসা নয়, প্রতিষেধ[১] করোনা মহামারির সুনামিতুল্য ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত ভারতবাসীর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা
আমরা প্রার্থনা করি তাদের এই মহাদুর্যোগ অচিরেই কেটে যাবে।
নাঈমুল ইসলাম খান: [২] এই সময়ে ভারতের জনগণের পাশে দাড়ানো আমাদের সৎ এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব। বাংলাদেশ ভারতীয় জনগণের এই দুঃসময়ে বিশেষ সাহায্য করার সামর্থ্য রাখে না কারণ আমরাও খুবই সীমিত সাধ্য নিয়ে করোনার সাথে এক অসম যুদ্ধে পেরেশান।
[৩] তারপরও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমার প্রস্তাব, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ে ভারতের করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্য জরুরি কিছু সাহায্য সামগ্রী ধার হিসেবে পাঠানো। যেমন ১০০ বা ২০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর অথবা হাইফ্লোনাজাল ক্যানোলা। তার সাথে বাংলাদেশে উৎপাদিত করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কিছু সামগ্রী যেমন গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদিও যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব, ভারতের জনগণের জন্য শুভেচ্ছা স্মারক উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
[৪] ভারতে বর্তমানে করোনা যে নজিরবিহীন মানবিক বির্পযয়কর আঘাত হেনেছে এই সময়ে এই পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য তদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেন, যেটা হয়তো বাংলাদেশ থেকে পাঠানো সম্ভব নয়। যদি পাঠানো সম্ভব হয়, সেটাও বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি।
[৫] ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বল্প মেয়াদে বা তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ভ্যাকসিনের তেমন কোনো ভূমিকা নেই, কারণ করোনা ভ্যাকসিন, করোনার ঔষধ নয়, চিকিৎসা নয়, প্রতিষেধক নয়, এটা প্রতিরোধক। এর ইতিবাচক প্রভাব একটু দূরবর্তী, এজন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য, বাংলাদেশের কেনা যে ভ্যাকসিনগুলো প্রস্তুত রয়েছে, আমি ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করবো এসময়ে অতি দ্রুততার সাথে আমাদের ভ্যাকসিনগুলো আমাদেরকে পাঠিয়ে আমাদের অতি জরুরি প্রয়োজনে সহযোগিতা করুন।
[৬] আমরা যদি ভারতের কাছ থেকে আমাদের কেনা এবং তৈরি ভ্যাকসিনগুলি এখনই না পাই, তাহলে আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং জনমনে একটি ভীতি সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পাওয়া খুব জরুরি।
[৭] বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নতুন করে ভ্যাকসিন প্রদান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ ভারত থেকে ক্রয়কৃত ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা।
[৮] করোনার ভ্যাকসিন সময়মতো না পেলে, আমাদের এই জরুরি মুহূর্তে না পেলে, জনসাধারণের মনে যে ভীতি সৃষ্টি হবে তা নাগরিকের মনে ভারতের প্রতি বৈরি মনোভাবও একই সঙ্গে সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশে ভারত বিরোধী যে অপশক্তি রয়েছে তারা এই নিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে সক্রিয় হবে।
[৯] বহুবছর ধরে, বহু মানুষের প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে সেই উন্নতি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভারত সরকারকে এই নাজুকতা এবং তাদের কর্তব্য উপলব্ধি করতে হবে।
[১০] আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভারতের আগ্রহ থাকলে, মূল্য পরিশোধিত এবং চুক্তিবদ্ধ সব ভ্যাকসিন সময় মতো বাংলাদেশকে সরবরাহে কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আবার আস্থাহীনতায় নড়বড়ে হয়ে পড়বে। ক নয়, এটা প্রতিরোধক। এর ইতিবাচক প্রভাব একটু দূরবর্তী, এজন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য, বাংলাদেশের কেনা যে ভ্যাকসিনগুলো প্রস্তুত রয়েছে, আমি ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করবো এসময়ে অতি দ্রুততার সাথে আমাদের ভ্যাকসিনগুলো আমাদেরকে পাঠিয়ে আমাদের অতি জরুরি প্রয়োজনে সহযোগিতা করুন।
[৬] আমরা যদি ভারতের কাছ থেকে আমাদের কেনা এবং তৈরি ভ্যাকসিনগুলি এখনই না পাই, তাহলে আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং জনমনে একটি ভীতি সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পাওয়া খুব জরুরি।
[৭] বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নতুন করে ভ্যাকসিন প্রদান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ ভারত থেকে ক্রয়কৃত ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা।
[৮] করোনার ভ্যাকসিন সময়মতো না পেলে, আমাদের এই জরুরি মুহূর্তে না পেলে, জনসাধারণের মনে যে ভীতি সৃষ্টি হবে তা নাগরিকের মনে ভারতের প্রতি বৈরি মনোভাবও একই সঙ্গে সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশে ভারত বিরোধী যে অপশক্তি রয়েছে তারা এই নিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে সক্রিয় হবে।
[৯] বহুবছর ধরে, বহু মানুষের প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে সেই উন্নতি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভারত সরকারকে এই নাজুকতা এবং তাদের কর্তব্য উপলব্ধি করতে হবে।
[১০] আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভারতের আগ্রহ থাকলে, মূল্য পরিশোধিত এবং চুক্তিবদ্ধ সব ভ্যাকসিন সময় মতো বাংলাদেশকে সরবরাহে কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আবার আস্থাহীনতায় নড়বড়ে হয়ে পড়বে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network