এলাকাবাসী জানায়, চার বছর ধরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। তাহলে সেতু বানিয়ে লাভ কী! এই সেতু তাদের কোনও কাজে আসছে না।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। সে সময় এক কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৪৯৭ টাকা ব্যয় হয়েছিল সেতুটি নির্মাণে। নির্মাণের কয়েক বছর পরই বর্ষায় বন্যার পানিতে সেতুটির দু পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে যায়। ফলে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগিতা হারায়।
তারা অভিযোগ করে আরও জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। ঠিকাদারেরা দায়সারাভাবে বালু দিয়ে এক প্রান্তে সেতুতে ওঠার সংযোগ সড়ক দিলেও অপর প্রান্তে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নামতে বা উঠতে হয়। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজারো মানুষ। সেতুর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সেই চরে বসবাস করে কয়েক শ’ পরিবার। এসব পরিবারের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে আসতে হয় সেতুর পূর্ব পাশে চেয়ারম্যান বাজার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থী, রোগীসহ হাজার হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন।
স্থানীয়, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, সালাম সরদার জানান, ব্রিজটি করার ১১ মাস পরেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। এলাকার ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজ করেন। মৌসুমি ফসল উপজেলা সদরসহ জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেতুটি ব্যবহার করতে না পারায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। ফলে সময় ও অর্থ দুটিই অপচয় হচ্ছে।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুছ সরকার ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেন।’ এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘নদীতে সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে। আমরা এ প্রকল্পের প্রজেক্ট অনুমোদনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে বর্ষার শেষে কাজ শুরু করা যাবে।’
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, ‘ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে পাঁচ-ছয় বছর আগে। বর্ষার সময় বন্যার পানিতে দু পাশের মাটি ভেঙে যায়। এ প্রকল্পের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই বর্ষার শেষে কাজ ধরা হবে।’