১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

টাইটান ট্র্যাজেডি: উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ‘মানব দেহাবশেষ’ থাকার সম্ভাবনা

আপডেট: জুন ২৯, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শনে গিয়ে ধ্বংসাবশেষ হয়ে ফিরলো ডুবোযান টাইটান। সেই ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ থেকে খোঁজ পাওয়া গেছে বেশ কিছু দেহাবশেষের। কিছু দেহাবশেষ মিলেছে ডুবোযান উদ্ধার হওয়ার স্থান থেকেও। সেগুলো মানবদেহের টুকরো বলেই আপাতত মনে করা হচ্ছে। বুধবার (২৮ জুন) এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল রক্ষীবাহিনী কর্তৃপক্ষ।

গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করতে সমুদ্রের অতলে গিয়েছিল টাইটান। কিন্তু যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি সমুদ্রগর্ভ থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজ মেলে প্রায় পাঁচ দিন পর।

নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দূরে ও সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে খোঁজ পাওয়া যায় ডুবোযানটির। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট দূরে। তখন অবশ্য সেই ডুবোযানের বিশেষ কিছু অবশিষ্ট ছিল না। পানির চাপে টুকরো টুকরো হয়ে যায় টাইটান। তবে টাইটানে থাকা পাঁচ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। টাইটানের মালিক সংস্থা ‘ওশানগেট’ ও উপকূল রক্ষীবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সমুদ্রের নিচে পানির চাপ সহ্য করতে পারেনি টাইটানিয়াম ও কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি ডুবোযানটি। প্রচণ্ড চাপে পানির মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে টুকরো হয়ে যায় সেটি। সেই ডুবোযানের অবশিষ্টাংশের কাছ থেকে ওই ‘মানব দেহাংশ’গুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পানির তলায় বিস্ফোরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পাঁচ যাত্রীরও। উদ্ধার হওয়া প্রাণীদেহের অবশিষ্টাংশ ওই পাঁচযাত্রীর কি না তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল রক্ষীবাহিনী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই দুর্ঘটনার জন্য ‘মেরিন বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন’ নামে সর্বোচ্চ স্তরের তদন্তও শুরু করেছে মার্কিন উপকূল রক্ষীবাহিনী।

সূত্র: সিএনএন, গার্ডিয়ান

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network