আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সম্ররামুন্ডার (৫৫) পায়ুপথ দিয়ে একটি কুঁচিয়া মাছ তার পেটে ঢুকে যায়। প্রায় ৩৬ ঘণ্টার পর ২৪ মার্চ রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে মাছটি বের করা হয়।
বুধবার পেট থেকে কুঁচিয়া বের করার সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী জানে আলম।তিনি বলেন, সম্রা মুন্ডার অস্ত্রোপচার এত জরুরি ছিল যে, সিটি স্ক্যান করার সময়ও পাওয়া যায়নি। দেরি হলে ঐ ব্যক্তির রক্তে জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে যেত। বৃহদন্ত্রের একটি অংশ ‘সিগময়েড কোলন’-এর প্রায় তিন থেকে চার সেন্টিমিটার ছিদ্র করে পেটের ‘পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটির’ মধ্যে ঢুকে পড়ে কুঁচেটি। সেখানে কিছুটা অক্সিজেন পাওয়ায় এটি বেঁচে ছিল।
অধ্যাপক কাজী জানে আলম বলেন, রোগীর পেটের বাঁ পাশ দিয়ে মল বের হওয়ার রাস্তা বের করতে হয়েছে। দেড় মাস পর সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আরেকটি অস্ত্রোপচার করা হবে। রোগীকে আরো ১০ দিন হাসপাতালে রেখে সেলাই শুকিয়ে যাওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হবে।সম্রা মুন্ডার অবস্থার উন্নতি হয়েছে জানিয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এখন তার অক্সিজেনের সহায়তা লাগছে না। তাকে পানিজাতীয় খাবার মুখে দেওয়া হচ্ছে। পেটে সংক্রমণ রোধে মেরোপেনম ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্ররামুন্ডা (৫৫) বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করতেন। গত ২৩ মার্চ স্থানীয় একটি হাওরে মাছ ধরতে গেলে পায়ুপথ দিয়ে কুঁচিয়া মাছটি তার ঢুকে যায়।