৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

নবীজী (সা.) যেভাবে কুরবানির গোশত বণ্টন করতেন

আপডেট: জুন ১৬, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আপডেট নিউজ ডেস্ক:: কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কুরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কুরবানি পালিত হয়েছে।এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত।সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’  বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়া গরিব-দুখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়।

আল্লাহ ও তার রাসূলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কুরবানিতে। নবীজীকে আল্লাহতাআলা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাওসার:২)

অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসূল!) আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন,আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম : ১৬২)

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

এছাড়া ইবন মাসঊদ (রা.) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

কুরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কুরবানির মাধ্যমে কুরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।

আল্লাহ তাআলাও এটাই চান,বলেছেনও তাই- (মনে রেখো, কুরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই  পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সূরা হজ : ৩৭)আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কুরবানি করার তাওফিক দান করুন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network