আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক:: আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনও নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে নাই। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অপকৌশলের অংশ হিসেবে, ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য এই ইস্যুটিকে এইভাবে ব্যবহার করেছিল।বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে, তারা (আওয়ামী লীগ) জামায়াত-বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল এবং ওই ন্যারেটিভের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। যে ন্যারেটিভ দিয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তা সত্যি না। সেটা ছাত্র-জনতার বিপ্লব ছিল। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করা- আমরা এই মিথ্যা ন্যারেটিভের অংশ হতে পারি না। আমরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত ও প্রত্যাখ্যাত একটি দলের অন্যায় ন্যারেটিভের অংশ হতে পারি না।
আসিফ নজরুল স্মরণ করিয়ে দেন, আমাদের সমাজের কিছু মহল থেকে বহু বছর যাবৎ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতো। আওয়ামী লীগ একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। তারা এমন একটি বিশেষ মুহূর্তে এটা করেছে, যখন ছাত্র-জনতার বিপ্লব চলছিল, গণঅভ্যুত্থান চলছিল। তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে, এই গণঅভ্যুত্থানকে নির্মমভাবে দমন করার চেষ্টায় রত ছিল। এর বহু প্রমাণ আছে।