১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি, কলাপাড়ায় মামলা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস- ফাইল ফটো!

কলাপাড়া প্রতিনিধি:: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকিসহ তার সুনাম, খ্যাতি নষ্ট করার অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন হাসান মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি। পরে আদালত কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।হাসান মাহমুদ কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী গ্রামের আবুল হাসেম খানের ছেলে ও মামলার আসামি হলেন- একই গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী খানের ছেলে ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের পয়েন্টসম্যান পদে কর্মরত মাসুম বিল্লাহ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে এলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেন। যা সময় টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ভিডিও পোস্ট করে। উক্ত ভিডিও পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে অনেক দর্শক শেয়ার ও কমেন্টস করেন। তখন আসামি ওই ভিডিও শেয়ার ও কমেন্টস করে বলেন, ‘আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ এতে বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। অতঃপর আসামি এলাকায় বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি পশ্চিমা দালাল বলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মানহানিমূলক উক্তি প্রকাশ করেন। সর্বোপরি আসামি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাকি পেলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

আদালতের একাধিক সূত্র জানায়, বাদী তার নালিশি মামলাটিতে প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬(খ) ধারা সংযুক্ত করে দাখিল করায় বিচারক মামলাটি তার এখতিয়ায় বহির্ভূত এবং বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পরামর্শ দিলে বাদীর নিযুক্ত কৌঁসুলি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাটি কেটে দেন।

সূত্রটি আরো জানায়, মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধের বিবরণে লেখা। এছাড়া মামলার বিবরণে পেনাল কোডের ৩০৭ ধারার কোনো উপাদান নেই।এদিকে মামলা দায়েরের পর মামলার বিবাদী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ঘটনার তারিখ আমি গ্রামে নয় অফিসে কর্মরত ছিলাম। অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।’

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network