আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বরিশালে লাঠি মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের ব্যানারে মিছিলটি বের হয়।
মিছিলের পূর্বে নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতি ও ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেয়।
মিছিল শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ দেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট সরকারকে জায়গা দেওয়া হবে না। আর রাষ্ট্রপতি যে কথা বলেছেন তা ছাত্রজনতার আন্দোলনে মুখে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারকে মদদ দেওয়ার শামিল। আমরা রাষ্ট্রপতির অনতিবিলম্বে পদত্যাগ চাই। নয়তো ছাত্রজনতা মিলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘেরাও করা হবে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে পালিয়ে গেছে, তাও তাকে মনে রাখতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করলে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হলে তাকেও মুখে পালিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পাশাপাশি আমরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ আমাদের ভাইরা জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে শহিদ হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এখনও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমরা আজও যে দাবির কথা বলছি তা জনগণের কথা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, স্বৈরাচারের দোসরদের রুখতে, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছি আমরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থী মো. ছাব্বির, জিয়াউর রহমান নাঈম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ নিজাম উদ্দিন, জাহিদ হাসান, মো. আশিকুর রহমান শোভন, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আসিফসহ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ শেষে একটি লাঠি মিছিল বের করা হয় মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় অশি^নী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় মিছিলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, অমৃত লাল দে কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।