আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ই জুলাই ২০২৫) দুপুরে আসামিদের উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৩৭), চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (২৭) এবং জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে জমির উদ্দিন (৪৮)। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরাধের জেরে একদল দৃর্বুত্ত কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দুদিন পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার তৎকালীন পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার ১নং আসামি স্বাধীন আলী ও ৬নং আসামি আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারাক্তিমূলক জবাদবন্দি প্রদান করেন। ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সন্দেহাতীতভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে তাদের দুজনকেই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মামলা থেকে ৫ জনকে বেকুসর খালাস দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে পূর্ব শক্রতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের বাবলু রহমানকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জীবননগর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সৈকত পাড়ে। এতে একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন। ১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে বাবলু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে জমির উদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।