আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২৫
বরগুনা প্রতিনিধি:: পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জু গাজীর মেশিনারিক দোকানে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল লোকালয়ে প্রবেশ করে।
ওই ডাকাতদলের সদস্য আমিরুল ইসলামকে (৪০) হাজার টাকার বাঁধ এলাকার জনতা আটক করে। পরে তাকে গণধোলাই দেয় তারা। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই ডাকাতদলের আরেক সদস্যকে মহিপুর থানায় আটক করা হয়েছে। তার নাম জানা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় সোমবার সকাল ১০ টার দিকে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের পাশে মঞ্জু গাজীর মেশিনারিক দোকানে পিকআপ গাড়িতে আসা ৭-৮ সদস্যের ডাকাত দল রোববার দিবাগত রাতে ডাকাতি করে। খবর পেয়ে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল মহিপুর যায়। ওই স্থানে পুলিশ একজনকে আটক করে। পরে ডাকাতদল আবারো আমতলীর দিকে ফিরে আসে। আমতলী পৌছার মাত্রই পুলিশ তাদের আবারো ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা লোকালয়ে প্রবেশ করে। কুকুয়া ইউনিয়নের হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় গাড়ি রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয় জনতা আমিরুল ইসলাম নামের এক ডাকাতকে আটক করে এবং তাকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত আমিরুলের বাড়ী পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার রাধানগর এলাকায়। তার বাবার নাম ফোরকান শেখ। অপর ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ হাজারটাকার বাঁধ এলাকায় কাজ করছে। পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি জব্দ করেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, “পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল গাড়ি রেখে পালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা ধাওয়া করে ডাকাত আমিরুল ইসলামকে আটক করেছি। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে।”
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “আমতলী ও মহিপুর থানায় দুইজন ডাকাত আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর ডাকাতদের আটক করতে মাঠে কাজ করছি। ঘটখালী বিএম অটো গ্যাস পাম্পের কাছে একটি দোকানে ডাকাতি করা হয়েছিল। মহল পুলিশ খবর পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। তারা মহিপুর চলে যায়। ওই থানায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই স্থানে ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদল আমতলীতে এসে লোকালয়ে প্রবেশ করে।”

