২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠি-১ জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন ফয়জুল হক

আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২৫

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির মালয়েশিয়া কমিটির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করা ড. ফয়জুল হক।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। বিএনপির নেতারা জানান, ড. ফয়জুল হক ঝালকাঠি বিএনপির কোনো ইউনিটের সদস্য হিসেবে ছিলেন না। তিনি অন্য কোথাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা তা তাদের জানা নেই।

ড. ফয়জুল হক ওলীয়ে কামেল হজরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) এর নাতি। তিনি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক রাজাপুরীর ছোট ছেলে। গত ১২ জুলাই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

রাজাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ড. ফয়জুল হক ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয় করতে।

ড. ফয়জুল হক বলেন, “আমি মালয়শিয়া বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। সেখান থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। গত ৫ আগস্ট আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচার হটিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বির্তকিত কর্মকাণ্ড আমারা খুব লেগেছে। এ কারণে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি।”

জামায়াতের মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দাঁড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জিতে জামায়াত ইসলামের ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে। সেই দলের পার্ট হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ঝালকাঠি-১ আসনের সব দল ও মতের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবারের ভোট দাঁড়িপাল্লায় হবে।”

জামায়াতের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‍“আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে। আমাকে তিনি কঠিন সময়ে মানসিক শক্তি অর্জনে সর্বদা সাহস দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ পতনের পর তিনি তার দল থেকে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।”

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বলেন, ‍“ড. ফজুল হক ঝালকাঠি জেলার অধিনস্ত বিএনপির কোনো সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটিতে ছিলেন না। হয়তো অন্য কোথাও বিএনপি করতে পারেন। এ সম্পর্কে আমার জানা নেই।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন ড. ফয়জুল হক। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি ও ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network