আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২৫
আপটেড নিউজ ডেস্ক:: যারা দেশ শাসনের সুযোগ পেয়ে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন শাড়িতে পুরোনো বউ দেখতে চায় না। ফলে আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে এমন মন্তব্য করেছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন।
উপদেষ্টা আরও বলেছেন, “বিধি পরিবর্তন করতে চাইলে নির্বাচিত হতে হবে তাদের, যাদের মধ্য ইমানের শক্তি আছে। ১৬ বছরের জঞ্জাল দেড় বছরে সরানো সম্ভব নয়। ৫৪ বছর পর দেশের জন্য সুযোগ এসেছে। আগামী দিনে নতুন আলোর সন্ধান পাবে দেশবাসী।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, “আমি কোথাও নির্বাচনে প্রার্থী হইনি, ফলে মন্ত্রী হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তারপরেও আমাদের সকল প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো দেশকে ভালো অবস্থায় আনা এবং জীবন উৎসর্গকারী জনতার রক্তকে সার্থক করা। ৫৪ বছর পরে একটি সুযোগ এসেছে, যা কাজে লাগাতে হবে। নাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে।”
বৃহস্পতিবার চরমোনাই ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, “আগে যারা দেশ শাসনের সুযোগ পেয়ে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।”
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, “চরমোনাই পীর সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঐকান্তিক চেষ্টায় উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছে। আমার বিষয়ে আপনারা প্রত্যাশা অনেক বেশি, কিন্তু আমার সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতা মেনে আমার কাজ করতে হয়।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “ধর্মের ব্যাখ্যার জন্য উলামাদের কথাই শেষ কথা। বাংলাদেশে কেউ ইসলাম অবমাননা করলে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ দয়া করে আইন হাতে নিবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে পারি, বাংলাদেশে কেউ কোনোভাবেই ধর্মের অবমাননা করতে পারবে না।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, “আল্লাহ বলেছেন, তোমরা কখনো জালেমের দিকে ঝুঁকে যেও না। আগামী নির্বাচনে কোনো প্রলোভন বা ভয়ের কারণে কোনো জালেমকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর আফম খালেদ হোসাইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমানসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করা হয়।

