আপডেট: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
গাজীপুর প্রতিনিধি:: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের চাওবন ডুয়াইবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের সেরার খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ছয় মাস আগে নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এখনো ব্যবহারযোগ্য হয়নি। দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আজও অচল পড়ে আছে। এতে কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ ও স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের সময়ই দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো সেই কাজ শুরু হয়নি। ফলে গ্রামবাসীর প্রধান চলাচলপথটি অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চাওবন গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, “সেতুটি আমাদের কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রধান রাস্তা। কিন্তু রাস্তা না থাকায় শিশুসহ প্রবীণরা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করছেন।” স্থানীয় নারী আছমা বেগম বলেন, “সেতু থাকার পরও রাস্তা না থাকায় আগের মতোই ভোগান্তি। এলাকাবাসী নিজেরাই কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উঠার ব্যবস্থা করেছে। দুই সপ্তাহ আগে এক শিক্ষার্থী সিঁড়ি থেকে পড়ে রডে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে।”
নুহা নামে আরেক নারী বলেন, “সেতুতে সাঁকো দিয়ে ওঠার ঘটনা কোথাও দেখিনি। প্রতিদিন বাচ্চাকে এই ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে নিতে হয়। আমরা দ্রুত রাস্তার কাজ চাই।”
স্থানীয় আবদুল বারিক, আফজাল, জহির আলী, মজিবর হোসেন, তযুসহ অনেকে জানান, দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং কোটি টাকার এই সেতুটি কার্যকর হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের গ্রামীণ রাস্তায় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। কাজটি সম্পাদন করে মিথুন এন্টারপ্রাইজ।
মিথুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “বর্ষার কারণে এতদিন মাটি সংগ্রহ করা যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে মাটির ব্যবস্থা করে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।”স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “মাটির ব্যবস্থা হলেই দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।” উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল বলেন, “আমি যোগদানের আগেই সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশের প্রপোজের কাজ বাকি রয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

