আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
ষ্টাফ রিপোর্টার:: বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুল ইসলাম সহিদের নেতৃত্বে জামায়াতের এক কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাশিপুর হাই স্কুলের সামনের বাজারে বসে ঘটনাটি ঘটে।
আহত ব্যক্তি জাহের হোসেন (৪০)। তিনি কাশিপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ জামায়াতের ইউনিট সভাপতি এবং স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, মেহেন্দিগঞ্জ ড্রাগ হাউজ থেকে সাবেক কাউন্সিলর শহীদের অটোরিকশা চালক হারুন দীর্ঘদিন ধরে বাকিতে ওষুধ নিলেও তা পরিশোধ করছিলেন না। এ নিয়ে গতকাল দোকানদার পলাশের সাথে হারুনের কথা কাটাকাটি হলে পলাশ তাকে থাপ্পড় মারেন।
এর জের ধরে পরদিন সকালে হোপ ট্রেডার্সে বসে সাবেক কাউন্সিলর শহিদ ও তার সহযোগীরা বাজার কমিটির ক্যাশিয়ার আলমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ওই সময় উপস্থিত ব্যবসায়ী জাহের হোসেন বলেন, “হারুন বাকি খেয়ে টাকা দেয় না। উভয়ের দোষ আছে, ছোট্ট বিষয় নিয়ে মারামারি না করাই ভালো।”—এমন মন্তব্য করায় শহীদপক্ষ ক্ষুব্ধ হন।
অভিযোগ অনুযায়ী, জাহের হোসেনকে “জামায়াতের লোক” আখ্যা দিয়ে সাবেক কাউন্সিলর কাজী সহিদ, আব্দুল জলিল তালুকদার, কাজী মহিউদ্দিন, রানা ও আরও ৮-১০ জন মিলে লাঠি ও ইট দিয়ে দুই দফায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
ভুক্তভোগী জাহের হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,
“আমি শুধু বলেছিলাম—বিরাট কিছু না, বাকি টাকা না দেওয়া ঠিক হয়নি। ওই কথা বলার পরই আমাকে জামায়াতের লোক বলে চিহ্নিত করে মারধর শুরু করে। পালানোর সুযোগও পাইনি।
অন্যদিকে, জাহেরের পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সাবেক কাউন্সিলর শহীদের অনুসারীরা প্রভাব খাটান। সামান্য বিষয়েও এমন হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।এদিকে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সন্ধ্যার পর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

