আপডেট: মে ১৪, ২০২০
চরফ্যাশন প্রতিনিধি :
গাইনী ডাক্তারের নির্দেশ প্রসূতিকে সিজার করতে হবে। প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকের প্রসূতি স্ত্রীকে চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালের ফ্লোরে রাখার অভিযোগ ওঠেছে।
প্রসূতির স্বামী শিক্ষক ও সাংবাদিক এম লোকমান হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালের কর্মরত গাইনী ডাক্তার হোসনে আরার মাধ্যমে নিয়মিত আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করে আসছি। আগামী ১৯ মে আমার স্ত্রীর সম্ভাব্য ডেলিভারির সময় দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ১২ মে ভোর ৪ টায় আমার স্ত্রীর স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হয়।
কিন্তু প্রসূতির রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসার জন্য চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডাক্তার হোসনে আরাকে দেখানোর জন্য আনা হয়। আধুনিক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কেবিনে ভর্তি করবে ঠিক এসময় হাসপাতালের পরিচালক খালেদ তিতুমীর বলেন, হোসনে আরা ম্যাডাম বলছেন এ রোগীর চিকিৎসা এখানে হবেনা।রোগীকে তিতুমীরের নির্দেশ হাসপাতালের কেবিন থেকে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর স্বজনদের সামনেই নীচে ফেলে রাখে বর্ষা নামক এক নামধারী সেবিকা।পরে উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীরা তাদের রোগীকে চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন।
এদিকে একজন রোগীর সাথে চরম এ অমানবিক আচরণের বিষয়টি চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা।
অভিযোগ রয়েছে, চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালে কোন রোগী এলে সিজার না লাগলেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে সিজার করার অভিযোগ গাইনী ডাঃ হোসনে আরার বিরুদ্ধে।চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহীন মাহমুদ জানান, চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যেকোন সময় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন বসাক সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। সেখানে যেহেতু সিজার করার ব্যবস্থা আছে, অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারত।আধুনিক হাসপাতালের পরিচালক তিতুমির শিক্ষকের প্রসূতি স্ত্রীর সাথে অমানবিক আচরণের সময় হাসপাতালে ছিলেন না বলে দাবি করেন। তবে, প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ তিতুমীর হাসপাতালে ছিলেন। তার নির্দেশেই আমাদের রোগীকে ফ্লোরে রাখা হয়েছে।সচেতন মহল চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।