২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

চরফ্যাসনে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নারীকে পিটিয়ে আহত।

আপডেট: মার্চ ৬, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নুরুল্লাহ ভূইয়া, চরফ্যাসন (ভোলা)।
ভোলার চরফ্যাসনে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে আবদুর রহমান ফরাজী বাড়িতে পুকুরের পানিতে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরায় বাধা দেওয়ায় নুরনাহার নামে এক নারীকে কয়েকজন মিলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী নুরনাহার জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে দেখতে পাই পুকুরের কারা যেন আলো জ্বালিয়ে মাছ ধরছে। একটু এগিয়ে আমি খেয়াল করে দেখি আমাদের একই বাড়ির বেল্লাল ও বশির আমাদের পুকুরের মাছ বস্তায় নিচ্ছে । আমি ডাক চিৎকার দিলে তারা বস্তাসহ মাছ নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে । আমি উঠানের মাঝে এসে চিৎকার দেই এবং তাদের দরজার সামনে গিয়ে তাদেরকে দরজা খুলতে বলি তারা দরজা না খোলায় আমি আমার ঘরে চলে আসি। সকালে(৬ মার্চ) দেখি পুকুরে অসংখ্য মাছ মরে ভেসে উঠছে। পরবর্তীতে আমরা লোকজনসহ মাছ ধরে পুকুরের ওপরে উঠিয়ে আনলে বশির ও বেল্লালের পক্ষে কয়েকজন মাছ নিতে চাইলে আমি বাধা দেই এতে রিমা ও রুনাসহ কয়েকজন আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহত নুরনাহারের স্বজন তাজুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায় পেয়ে পনেরো বছর আগে থেকে বাড়ির পুকুরটি আমরা ভোগ দখল করে আসছি, গত তিন বছর পূর্বে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে দরখাস্ত করে আমাদের প্রতিপক্ষ আবদুল মান্নান গং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর বিচারের ভার আনে, তখন থেকেই সালিশ ফয়সালার আগ পর্যন্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে পুকুরটি কেউই ভোগ দখল করছে না। কিন্তু গতকাল রাতে আব্দুল মান্নান ফরাজী গং এর বেল্লাল ও বশির বিষ মিশিয়ে পুকুরে মাছ ধরে।
পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে আব্দুল মান্নান গং এর আবুল কাশেম ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাছ এমনিতেই মরতে পারে, এত মাছ একসাথে এমনিতেই মরতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়তোবা পাশের ইরি ক্ষেত থেকে কীটনাশক মেশানো পানি পুকুরে ঢুকে মাছ মরেছে।
নুরনাহারকে মারার বিষয়ে তিনি বলেন, তার সাথে আমাদের গ্রুপের লোকজনের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
আহত নুরনাহার চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া ও কয়েকজন সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে সকালে পুকুর থেকে ধরা মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
তবে নুরনাহারের ভাষ্যমতে, রাতে লুট হওয়া মাছ বেল্লাল ও বশিরদের কাছ থেকে উদ্ধার করা যায়নি।
চরফ্যাসন থানার ডিউটি অফিসার নুরুজ্জামান জানান, পুকুরের মাছ ধরা ও নুর নাহার নামে এক গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network