১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে চাষীর মুখে স্বস্তির হাসি

আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী)সংবাদদাতা।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে ফুলের হাসি শোভা পাচ্ছে। আর সে হাসিতে যেন কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি। ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছে এ উপজেলার কৃষক।
দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যতদূর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর হলুদ ফুলের সমারোহ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এ হলুদের দৃশ্য। সবুজ গাছের মাথায় থাকা সূর্যমুখীর হলুদ ফুলগুলো বাতাসে দুলছে। ফুলে ফুলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মৌ-মাছি আর প্রজাপতি। সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে সকাল ও বিকালে ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সের নারী-পুরুষ। সরকারি কর্মকর্তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটির দিনে ছুটে যাচ্ছেন সেখানে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাত ইউনিয়নের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। এ ফসলের তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তা। এ বছর উচ্চফলনশীল সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে এ উপজেলায়। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ২০হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। আর চলতি বছর ৪২হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকছেন। অনেক জমিতে এ ফসল চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের সূর্যমুখী চাষী কাজী কামাল জানান, এবছরও আমি দেড় একর জমিতে জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি এবং ফলনও ভালো হয়েছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী চাষী সুলতান সরর্দার, জাফর, আলম সরর্দার, মোতাহার চৌকিদার ও নজরুল মৃধা বলেন, গত বছর আমরা বছর ১০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি ফলন ভালো পেয়েছি বলে এ বছর আমি একা প্রায় ৩একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে।
বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী ক্ষেত ঘুরে দেখতে আসা নুপুর রানী, সরমিলা, শুক্লা, লামিয়া, মিজানুর, হারুন ও মারুফা বলেন, সূর্যমুখীর ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে ক্ষেত। সেজন্য আমরা এক গ্রামের লোকজন মিলে দেখতে ও স্মৃতি হিসাবে ছবি তুলতে এসেছি। এসে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলার কাটাখালি গ্রামের চাষি জয়নাল মৃধা জানান, চলতি বছর আমি ১একর জমিতে সূর্যমুখি চাষ করেছি আর ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষকেরা আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় সারা ক্ষেতে ফুল আর ফুল।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর অহাম্মেদ জানান, এ বছর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে আর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network