আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৫
ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রাতের আঁধারে জালাল উদ্দিন নামের এক কৃষকের ২৫ কাঠা জমির তিন শতাধিক ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের একটি মাঠে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগস্ত কৃষক জালাল উদ্দিন হরিহরনগর গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, দুবছর আগে ২৫ কাঠা জমিতে আমি পেয়ারা বাগান করি। এখন পর্যন্ত বাগানের পিছনে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নিজের সন্তানের মত যত্ন করে গাছগুলোকে বড় করেছি। গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরায় আমি এবছর লাভের আশা করছিলাম। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর ফল বিক্রি শুরু হবে। এমন অবস্থায় রবিবার সকালে বাগানে এসে দেখি আমার প্রতিটি ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আমি গরীব মানুষ, কৃষি কাজ করে সংসার এবং সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালায়। কিন্তু আজ আমার সব শেষ করে দিল।
তিনি আরও বলেন, আমার এই ২৫ কাঠা জমি নিয়ে হরিহরনগর গ্রামের সামাদের পুত্র আলমগীরের সাথে ঝামেলা চলছিল। এর আগে সে আমার এই জমি বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ বেড়ার জাল কেটে দেয়। এমনকি আমার সন্তানের গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে প্রাণে মেরে ফেলতে যায়। যেহেতু অনেক আগে থেকেই সে আমার ক্ষতি করছে এটি তারই কাজ হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ছেলে আকিব হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত জের ধরে আলমগীর বেশ কয়েকবার আমাকে মেরেছে এমনকি আমার গলায় ছুরি ধরেও প্রাণে মেরে ফেলতে গিয়েছিল। এছাড়াও সে প্রায় আমাদেরকে জমির গাছ কেটে ফেলার হুমকি দিত। মাদকসেবী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।
জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল উদ্দিনের পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করেছে জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কৃষকের জমির ফসল কেটে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাগুলো রাতের আঁধারে ঘটায় অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়। ফসলের সাথে যারা শত্রুতা করে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাক এটাই সবার চাওয়া।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

