আপডেট: জুন ২৭, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক।। একটি পরিবারে কর্মজীবী বা উপার্জনশীল ব্যক্তি একজন থেকে বড়জোর দুজন থাকতে পারেন। ঘর থেকে শুধু পরিবারের সেই কর্মজীবীরাই বের হবেন। আর বাকি সদস্যরা কারণে বা অকারণে ঘর থেকে বের হবার কোনো প্রয়োজন নেই।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণের প্রতি এমনই জোর আহবান রেখেছেন দেশের আলোচিত নারী পুলিশ কর্মকর্তা গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার (পিপিএম)।
তিনি বলেন- ‘জীবন এবং জীবীকার প্রয়োজনে সকল কর্ম প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কবে কখন কিভাবে শেষ হয় তা যেহেতু অনিশ্চিত সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককে সার্বক্ষণিক সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের উদাসীনতা চলবে না।
কর্মজীবীরাও ঘর থেকে বের হলে একজন থেকে অপরজনের তিন ফিট শারীরিক দূরত্ব অবশ্যই অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। এরই সাথে প্রত্যেককে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আর ঘরে ফিরেও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাপড়চোপড় ধুয়ে দিতে হবে অবশ্যই। এই পৃথিবীর এই বাস্তবতা শুধু টিকে থাকার জন্য।’
জীবনের ঝুঁকি জেনেও দায়িত্বপালন করছে পুলিশ সদস্যরা। শুধু সাধারণ জনগণকে সুস্থ আর নিরাপদ রাখার জন্য। আর এই দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন, হারিয়েছেন নিজের প্রাণ। বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রত্যেকের সতর্ক আর সচেতন হওয়া জরুরি বলেও মনে করেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
তিনি বলেন- ‘গাজীপুর জেলায় এখন পর্যন্ত পুলিশসহ হাজার হাজার মানুষ ভয়াল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারাও গিয়েছেন আনুমানিক তেত্রিশ জন আক্রান্ত ব্যক্তি। জেলার কালীগঞ্জের তিনটি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এরই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’