আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক:: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নিহতের বড় ভাই নূর উদ্দিন।
তিনি বলেন, নিহত মুজাক্কির সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি রোগীদের প্রয়োজনে এ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত ২৬ জনকে দিয়েছেন। করোনাকালীন নিজ এলাকার অসহায় ও গরিব মানুষের দ্বারে দ্বারে খাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ঈদে দুস্থ ও এতিমদের গোপনে সহযোগিতা করতেন।
নূর উদ্দিন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মুজাক্কির। এ সময় আহত মুজাক্কির বাঁচার জন্য বার বার আকুতি জানালেও উপস্থিত স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘসময় বাজারে পড়ে থাকার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুজাক্কির মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢামেকের চিকিৎসক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুজাক্কির পড়ালেখার পাশাপাশি সংবাদিকতা করতো। কিন্তু সে কোনো দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা মাওলানা নূরুল হুদা মো. নোয়াব আলী মাস্টার বলেন, ওইদিন ঘটনাস্থলে তিনি বা তার পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাই কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা দেখিনি। তবে যারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি করেন। খুনিদের ফাঁসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি।
নিহতের মা মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার আদরের ছোট ছেলে মারা যাওয়ার পর আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে গতকাল বুধবার একটি ভিডিও দেখেছিলাম। ভিডিওতে দেখা যায় গত কয়েক মাস আগে একজন ব্যক্তি তাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে মারধর করে। ওই হামলাকারী তাকে বলে ‘তোর কোন বাবা আছে?। আমি ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন নিহতের ভগ্নিপতি আবদুস সাত্তার।