গ্রেপ্তারকৃত তরিকুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের মিজান খানের ছেলে। আর নিহত লামিয়া একই গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলামের কন্যা ও উপজেলা সদরের সরকারি বঙ্গমাতা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মো. বায়েজিদ আকন জানান, একটি চিরকুটের ভিত্তিতে গত ১৩ মার্চ স্থানীয় মান্নান শিকদারের নতুন বাড়ি তৈরির জন্য রাখা বালুর ভেতর থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ওই কঙ্কালটি নিখোঁজ তরুণী লামিয়ার। পরে গত ১৬ মার্চ পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। পিবিআই অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানার জাফরাবাদ এলাকার সাদেক খান রোডস্থ জনৈক মোহাম্মাদ আলী খানের ভাড়া বাসা থেকে আটক করে।
পিবিআই জানায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার স্ত্রী লামিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারণে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল। এ অবস্থায় গত ৬ ডিসেম্বর রাতে লামিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই রাতেই ১২টার দিকে লামিয়াদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের পাশে বসে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন তরিকুল। পরে স্ত্রীর লাশ টেনে ওই বালুর মাঠে নিয়ে যান তিনি। সেখানে পাশের একটি গোয়ালঘর থেকে বেলচা এনে বালু খুঁড়ে সেখানে ওই তরুণীকে পুঁতে রাখেন। পরবর্তী সময়ে গত ১১ মার্চ আবারও ওই পুঁতে রাখা লাশটি তিনি ওঠানোর চেষ্টা করেন ও তরুণীর বাড়িতে চিরকুট রেখে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর থেকে লামিয়া নিখোঁজ হন। এরপর ৭ ডিসেম্বর লামিয়ার মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে তরুণীর স্বামী তরিকুল ইসলামকে (২২) প্রধান করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।