১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজার

আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বরিশালে ন্যায্যমূল্যের দোকান বসানো হয়েছে। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিক বরিশালে’র ব্যানারে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নগরের চাঁদমারি মাদরাসা সড়কস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রথম দিনের এ বাজার বসে।

খুচরা বাজারের থেকে এ পণ্য কম দামে পেয়ে প্রথম দিনেই ক্রেতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া বাজারের সব পণ্যই ১১টার দিকে শেষ হয়ে যায়।

ক্রেতারা বলছেন, এভাবে যদি বাজার বিভিন্ন এলাকায় বসানো যায়, তাহলে বাজারের মূল্য সিন্ডিকেটের অধঃপতন ঘটবে। কারণ এ বাজারে টাটকা সবজি খুচরা বাজারের থেকে অনেক কম দামেই মিলেছে।

চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বলেন, প্রথম দিনেই বাজার ভালো জমে উঠেছে, তবে চাহিদার থেকে সবজির অনেক কম ছিল। অনেকেই খবর পেয়ে আসতে আসতে বেচা-বিক্রি শেষ হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য এ ধরনের বাজার হলে ভালোই হয়।

রাজিয়া নামের এক নারী বলেন, গত কয়েক মাসে ৮০ টাকার নিচে লাউ বাজার থেকে কিনতে পারিনি। সেখানে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে লাউ চিন্তাও করিনি। আবার কলা ও শসার দামও কম বাজারের থেকে।

বাজারটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রথম দিনে তারা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিক, বরিশালের চাঁদমারি কলোনিতে দোকান বসিয়েছেন। মূলত বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্যই এই উদ্যোগ।

তিনি বলেন, উজিরপুরের গুঠিয়া এলাকা থেকে পণ্য কিনে এনে এখানে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছি। প্রথম দিনে নগরের চাঁদমারি কলোনি ব্যতীত আমতলার মোড় মডেল মসজিদের সামনেও একটি দোকান বসানো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এটিকে আরও বাড়াতে, মূলত বস্তি এলাকায় আরও দোকান বসাতে চাচ্ছি।

যতদিন বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙবে ততদিন এ বাজার থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য এনে ভোক্তার কাছে বিক্রি করছি, মাঝে কোনো সুবিধাভোগী নেই। ফলে আমরা যে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারছি, তাতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হচ্ছেন।

তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা আরও বেশি পণ্য কিনব এবং স্টলের সংখ্যাও বাড়বে। আজ প্রথম দিনে আমরা সকাল ১০টায় পণ্য নিয়ে এসেছি। ক্রেতাদের এত আগ্রহ দেখেছি যে, মুহূর্তের মধ্যে সব বিক্রি শেষ হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, প্রথম দিনে কাঁচা মরিচ ১১০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কলা হালি প্রতি ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকা এবং ধনেপাতা ১শ গ্রাম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার ওপর ভিত্তি করে এ দাম উঠা-নামা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network