আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২৪
জীবননগর থানা | ফাইল ছবি
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে গেছেন ফেন্সিডিলসহ আটক হওয়া এক নারী। বৃহস্পতিবার (৩১শে অক্টোবর ২০২৪) সকাল ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া ওই নারীর নাম মনোয়ারা খাতুন (৩০)। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
জানা যায়, বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে মনোয়ারা খাতুন ও তাঁর সঙ্গী নাজমুল হুদাকে ৮৪ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করেন মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধীনস্ত গয়েশপুর বিওপির একটি টহল দল। পরে বিজিবি সদস্যরা আটক আসামিদের জীবননগর থানায় সোপার্দ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে থানা পালিয়ে যান আসামি মনোয়ারা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি মনোয়ারা খাতুনকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানোর কথা ছিল।
তিনি আরও বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় থানার ডিউটি অফিসার চা পান করতে গিয়েছিলেন। থানার গেটেও তখন কেউ ছিলেন না। পলাতক আসামি মনোয়ারা খাতুনকে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে গয়েশপুর বিওপির কমান্ডার সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ আটক হওয়া দুই আসামি থানায় হস্তান্তরের পর এক নারী আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। তবে কীভাবে পালিয়ে গেল সেটা থানা পুলিশ ভালো বলতে পারবে। আমরা যেহেতু থানায় হস্তান্তর করেছি সেহেতু পুরো দায়ভার এখন পুলিশের।’
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে জীবননগর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে। তাঁরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।