আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২৪
বরগুনা প্রতিনিধি :: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত অটোরিকশা চালক মো.আমির হোসেনের (২৮) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে দাফনের সাড়ে ৩ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উত্তোলন করে বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই দুপুরে ঢাকার রামপুরার একরামুন নেছা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উলান সড়কে গুলিবিদ্ধ হন আমীর হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে আমীর হোসেনের মৃত্যু হয়। সেদিন রাতেই মরদেহ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় পরিস্থিতি বিবেচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই আমীর হোসেনের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী আন্নী।
পিবিআই কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালত লাশ ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।’