আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২৫
মাদারীপুর প্রতিনিধি:: ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় লিবিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাদারীপুরের ৩ যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মাদারীপুরের ইমরান খান, মুন্না তালুকদার এবং বায়েজিদ শেখ।এদিকে দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহত ৩ যুবকের স্বজন ও এলাকাবাসী। তবে পুলিশ জানিয়েছেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা।
নিহতদের একাধিক স্বজনরা জানান, উন্নত জীবনের লক্ষ্যে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে গত ৮ অক্টোবর বাড়ি ছাড়েন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের হাজী মো. তৈয়ব আলী খানের ছেলে ইমরান খান। মানবপাচার চক্রের সদস্য ও প্রতিবেশী শিপন খান সরাসরি ইতালি পৌঁছে দেবে বলে ২২ লাখ টাকায় চুক্তি হয় । কিন্তু ইমরানকে লিবিয়া আটকে নির্যাতন করে পরিবার থেকে আরও ১৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়। শেষে ১ নভেম্বর লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করলে ভূমধ্যসাগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইমরান। পরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ইমারনের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।
একইভাবে ওইদিন ইমরানের সঙ্গে গুলিতে নিহত হন রাজৈর উপজেলার দুর্গাবদ্দী গ্রামের ইমারাত তালুকদারের ছেলে মুন্না তালুকদার, একই উপজেলার ঘোষলাকান্দি গ্রামের কুদ্দুস শেখের ছেলে বায়েজিত শেখ।তিন যুবকের মৃত্যুর পর লাশ ফেলে দেওয়া হয় সাগরে। ঘটনা জানাজানি হলে ঘরে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা দালালক্রের পরিবারের লোকজন।তবে শিপনের স্বজনদের দাবি, শিপন কারো কাছ থেকে জোর করে পাসপোর্ট নেয়নি। এই ঘটনায় শিপন জড়িত নন।
অভিযোগ উঠছে, কয়েক বছর ধরে লিবিয়ায় অবস্থান করছেন শিপন। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে এলাকার যুবকদের খুব সহজে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এর আগেও মৃত্যুর মতো এমন ঘটনা হলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল অভিযুক্ত।মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লিবিয়ায় গুলিতে তিন যুবকের নিহতের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দালালদের কোনো প্রকারেই ছাড় দেওয়া হবে না।

