আপডেট: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
ভোলা প্রতিনিধি:: ভোলার চরফ্যাশনে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে চকবাজার এলাকায় ও সদর হাসপাতালে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো. নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে হাসপাতালে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশাসহ পুলিশ সদস্যরা। তারা হাসপাতালে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যকার হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আহতদের চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। এরপর নৌ-বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেন। এদিকে হামলার বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি এবং জামায়াত নেতারা একে অপরকে দায়ী করছেন।
বিএনপির পক্ষে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল স্থানীয় যুবদল নেতা সবুজের বরাত দিয়ে জানান, চকবাজার এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপি উভয়দলের গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের গণসংযোগে অংশ নেওয়া যুবলীগের জামালসহ জামায়াতের কিছুলোক বিএনপির গণসংযোগের মধ্যে ঢুকে পড়ে, এতে তাদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলেও ইসলামী ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
অন্যদিকে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল এ হামলার ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের দায়ী করেছেন এবং এর বিচার দাবি করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.এমাদুল হোসেন বলেন, ‘হামলার বিষয়ে আমরা এখন স্পষ্ট হতে পারিনি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চরফ্যাশন থানার ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

