২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

গৌরনদীতে নারীলোভী শিক্ষকের অপকর্ম ফাঁস

আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

গৌরনদীতে নারীলোভী শিক্ষকের অপকর্ম ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক।। তিনি প্রেম করে বিয়ে করেন, আবার বিয়ে করেই করেন প্রতারনা। মূলত তার বিয়ে নাটকের মূল উদ্দেশ্য সংসার নয়, বউয়ের সরল বিশ্বাসের সুযোগে সব হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া
শিক্ষক নাকি মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক যদি হয় দুশ্চরিত্র ,শিক্ষক যদি হয় নারী লোভী, শিক্ষক যদি হয় ধর্ষনকারি,পরকিয়া প্রেমিক ,একাদিক বিয়ে করে,শিক্ষক যদি হয় যৌন হয়রানকারি সে কেমন মানুষ গরার কারীগর। ছবিটির ব্যাক্তি একজন শিক্ষক নামের নরপশু বলা যায় কি?

 

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দাদন মাস্টারের পুত্র হাপানিয়া গ্রামের শিক্ষক দিদারুল ইসলাম । এই শিক্ষক একের পর এক মেয়েদের জীবন নষ্ট করেছে। মেয়েদের সাথে প্রেম নামের অভিনয় করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েদের সর্বনাশ করে (যাহা হাতে নাতে ধরছে গ্রামের মানুষ) বিয়ে করেনি। তা ছারা গ্রামের সহজ সরল বউদের ভুলিয়ে বালিয়ে রাত জাপন করতে গিয়েও ধরা পরেছে এমন রেকড ও আছে ।

শারমিন সাম্মী অভিযোগ করে বলেন, এখন পর্যন্ত কথার ফুল জুড়িতে ফেলে প্রায় ৪/৫ টি বিয়ে করেছেন এই শিক্ষক নামের নরপশু। প্রথম বিয়েটা নিজে করেনি মেয়ের সাথে রাত যাপন করতে গিয়ে ধরা পরেছে, গ্রামবাসী ধরে বিয়ে পরিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়    বিয়ে টা করেছিল সে মেয়েটা কে কিছু দিন ভাল লেগেছে তার পর মা বোনদের ভাল লাগে না বলে মেয়েটিকে নির্মম ভাবে অত্যাচার করেছে।

কথায় কথায় মার ধর করত পুকুরে চুবিয়ে,খুনতি পুরে ছেকা ও দিয়েছে,অত্যাচার সহ্যজ করতে না পেরে তার বাবা মেয়েটিকে পুলিশ-সংবাদিকের সাহায্যে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘরে বউ থাকতে অন্য মেয়ে কলিগদের সাথে পরকিয়া লিপ্ত থাকে রাতে বউ ঘরে রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে ফোনে।

এর পর এখানে সেখানে মেয়ে দেখে বেরায় এভাবে ২ বছর পার হয়ে যায় এর কুকৃতির কথা শুনে সব মেয়ের মনে ঘৃনা নেয় এই লোকটির প্রতি, আরাই বছর পরে গ্রামের মানুষদের বুঝায় আমি ভাল হয়ে গেছি এক টা মেয়েকে পছন্দ করেছি এরে বউ করে এনে দিলে আমরা ভাল হয়ে যাবো।

ফেইসবুকে ভাইরা

সবাই তাই বিশ্বাস করে বিয়ে করতে সাহায্য করে, বিয়ে করে আনার ২ মাস মেয়েটির সাথে ভাল ব্যাবহার করে তার পর শুরু হয় এই মোয়েটির উপর নির্যাতন মেয়েটি কে পেগনেনছি অবস্থায় নানা কাজ করাতো, তেমন ভাল কিছু খেতে দিতনা, ভাল কাপর পরতে দিতনা মেয়েটির রুচি বোদের গুরুত্ব দেয়া হতনা মেয়েটি কাজের মেয়ে হয়ে থেকেও তাদের মন পায় নি। মেয়েটি অত্যাচারের স্বিকারে ১০৩-১০৪ জ্বর নিয়ে পরেছিল ১২ দিন। তার পর ও তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি শিক্ষক দিদারুল। মেয়েটি যখন সহ্য করতে পারেনি তখন তাকে নিয়ে গেছে মিশনে।

মেয়ে টি জ্বর সহ্য করে বেচে আছে কিন্তু তার বাচ্ছা টা সহ্য করতে পারে নি,তাকে পৃথিবী ছেরে চলে যেতে হইছে,তার পর ও মেয়েটি সংসার করতেছিল দিদারুলের সাথে। সারা ক্ষণ মেয়েটির খুত ধরে বেরাত লোকটির মা, লোকটির বাবা পান থেকে চুন খসতে লোকটির কাছে মেয়েটির নামে বানিয়ে বানিয়ে বিচার দিত।

তাই বিশ্বাস করে লোকটি মেয়েটিকে অশ্লীল ভাষা করতো মার ধর করত,এক দিন মেয়েটি সব কাজ সেরে রাতে পড়তে বসেছিল সে দিন মেয়েটির বই ছিরে ফেলেছে আগুনে পুরে ফেলতে চেয়েছে,মেয়েটি তখন অনেক বার বলেছে আমি চাকরী করবো না জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পরি।

তার কোন কথা শুনে নায় এই নরপশু তাকে বঠি নিয়ে খুন করতে চেয়েছে, কোন ভাবে বেচে তার বাবা কে ফোন করে বাবা ভাই মেয়েটিকে এক কাপরে নিয়ে আসে, আর কোন যোগা যোগ না করে মেয়েটির নামে উলটা মামলা করে পরিশোধে তাদের সব কিছু নিয়ে পালিয়ে আসসে মেয়েটি।

তারা জোট বেদে ক্ষমতার দাপটে আসে এক দিন মেয়েটিকে ডির্ভোস দিয়ে দেয়। মেয়েটি ও তাই মেনে নিয়ে সাইন করে দেয় ডির্ভোস পেপারে। মেয়েটি কে আার শুনতে হয় না তুই চলে গেলে দাদন মাষ্টারের ছেলে ১০০টা বিয়ে করতে পারবে।

এত জ্বালাই তা ও তুই যাশ না কেন?মেয়েটি কে জোর করে সাদা কাগজে সাইন দিতে বাদ্য করে না কেউ, মেয়েটিকে শুনতে হয় না তুই একাই বাচ্ছা হওয়াবি আর কারো হয় না। মেয়েটিকে শুনতে হয় না তার স্বাশুরির মুখ থেকে তোর বাচ্চা হবে প্রতিবন্ধি। মেয়েটি তো কোন বিচার করলো না এই নরপশুর, মেয়েটির মত আর কেউ যেন দিদারুলের মিষ্টি কথায় যেন না পরে।

নিজের জীবন টা নষ্ট না করে।এরা কোন দিন ও শুধরাবে না। এরা মুখোশ ধারী নরপশু। এদের বাহিরের রুপ দেখে কেউ ধরতে পারবে না। এরা কি, এদের ভিতরে এক রুপ বাহিরে আরেক রুপ। এদের মুখের কথাতে মধু পরে এগুলো এদের অভিনয়, প্লীজ প্লীজ এই ধরনের লোকদের থেকে দূরে থাকুন একটা মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায় সংসার ভাংতে না, সংসার গরতে।

মেয়েটি কে বিয়ের পর ভাবতে হবে তাদেরই পরিবারের সদস্য ,নয়তো মেয়টির শ্বশুর বাড়ি মেয়েটির জন্য হারাম হয়ে যাবে। এই নরপশু যেন আর কারো জীবন নষ্ট করতে না পারে। পরনারী লোভী কখনো নিজের স্ত্রীকে ভালবাসে না ভাল চোখে দেখে না সে স্ত্রী যতই সুন্দরী হউক না কেন । বিভিন্ন ছাত্রী ও মেয়েদের বিয়ে করে ছেড়ে দেওয়া নতুন করে বিয়ে করা তার নেশা।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দিদারুল  প্রতিবেদক কে মুঠোফোনে জানান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বলেন। আমি এখন বাসায় আছি। আপনি সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন, আমার কিছুই হবেনা টাকা থাকলে ওরকম মেয়েরা কত অাসবে আর যাবে। টাকা থাকলে সব করা যায়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network