আপডেট: মে ২১, ২০২০
বৃহস্পতিবার রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আম্ফানের কারণে ৭২ জনকে আমরা হারিয়েছি। এছাড়া হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।নিম্নাঞ্চলে বন্যা লেগে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ ত্রাণ তৎপরতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যেও।
বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বঙ্গোপসাগরে গত ২০ বছরে সৃষ্টি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির ব্যাপকতা এতটাই বিশাল ছিলো যে কেবল এর কেন্দ্রের পরিধিই ছিলো প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার আগেই বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এছাড়া ঘটে ভূমিধ্বসের ঘটনাও।
আম্ফানের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গে সহস্রাধীক গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বহু অঞ্চলের। এছাড়া নিম্নাঞ্চলগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার।
সূত্র: এনডিটিভি
মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারের জন্য আমি আড়াই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।