১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বিক্ষোভ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শহরে কারফিউ জারি

আপডেট: মে ৩১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন শহরে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, দোকান লুটপাটসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এমন সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জর্জিয়া, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন।

জরুরি অবস্থা জারি করা শহরগুলো হলো ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বেভারলিহিল ,লস এঞ্জেলস। কলোরাডো রাজ্যের ডেনভার, ফ্লোরিডার মায়ামি, জর্জিয়ার আটলান্টা ইলিনয়ের শিকাগো, কেনটাকির লুইসভিলে, মিনেসোটার মিনিয়াপলিস, সেন্ট পল, নিউইয়র্কের রকস্টার, ওহিওর সিনসিনাটি, ক্লিভল্যান্ড, কলম্বাস, ডেটন, টলেডো, ওরেজিউনের ইউজিন, পোর্টল্যান্ড, পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ার, পিটসবার্গ, সাউথ ক্যারোলিনার চার্লস্টন, কলাম্বিয়া, টেনিসিতের ন্যাশভিল, উথাওয়ের সল্ট লেক শহর, ওয়াশিংটনের সিয়াটেল এবং উইসকনসিনের মিলওয়াকি শহর।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। সেদিন থেকে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভ এখন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ডেরেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড।

হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ৪৬ বছর বয়সী এই কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনিয়াপোলিস উত্তাল হয়ে ওঠে। মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। বেশ কয়েকটি ভবন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বাইরে কয়েকশ বিক্ষোভকারী বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। মিনেসোটা, নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। উত্তেজিত প্রতিবাদকারীরা বৃহস্পতিবার মিনিয়াপোলিসের একটি থানাও জ্বালিয়ে দিয়েছে। মিনেসোটার গভর্নর অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘ভয়ানক ব্যাপার’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। নিহত আফ্রিকান-আমেরিকানের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network