আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের মুখোমুখি হতে চান হামলার শিকার ৬ বছর বয়সী এক শিশু। আদালতে ট্যারেন্টকে জিজ্ঞাসা করতে চান কেন এ হামলা চালিয়েছিল সে। চলতি মাসেই সাজা ঘোষণা করার কথা রয়েছে ট্যারেন্টের।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ হামলায় ৫১ জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয় অনেক মানুষ। পরে দোষ স্বীকার করে হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।
হামলার শিকার সবচেয়ে ছোট ব্যক্তি ওই শিশু। মস্তিষ্কে ভয়ঙ্কর আঘাত পায় সে। হামলার সময় তার বয়স ছিল ৪ বছর। তার বাবা জানান, অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে সে এবং আস্তে আস্তে তার স্মৃতি ফিরতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করছে, কেন আমি হামলার শিকার হয়েছিলাম? আর একই প্রশ্ন সে আদালতে করতে চায়। তিনমাস হাসপাতালের বিছানাই কাটিয়েছে শিশুটি।
তবে এই ছোট শিশু তার পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। তার বাবা বলেছেন যে তিনি তার বাচ্চার সুস্থাতার জন্যই আদালতে ওই বন্ধুকধারী মুখোমুখি দাড়াতে চান। তার উপর কি প্রভাব পড়ে তা দেখতে চান। এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞানী সারা চাটউইন বলেছিলেন যে শিশুরা সাধারণত আদালতে কথা বলতে না পারলেও ভুক্তভোগীদের জন্য প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে শিশুটির ক্ষোভও কিছু অংশে কমতে পারে।
বিচারক জানিয়েছেন, ব্রেন্টনের সাজা ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে তিনটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে আরও বেশি সময় ধরে এর শুনানি চলতে পারে। ট্যারেন্টের মামলার রায় আগেই ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংকটের কারণে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।