২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

একসময়ের জনপ্রতিনিধি থাকেন কুঁড়েঘরে

আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক:: লিটন মিয়া (৩৭)। ২০০১ সালে একটি দুর্ঘটনায় পা হারান। পঙ্গু অবস্থায়ই ২০১২ সালে মধুখালীর আড়পাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকেও নিজের জন্য কিছু করেননি। সম্পত্তি বলতে আছে বাড়ির দুই শতাংশ জমি। সেখানেই মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে চান একটি সরকারি ঘর। এক সময়ের জনপ্রতিনিধি হয়েও অভাবের কারণেই এখন তিনি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালীর আড়পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া। ২০০১ সালে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে কৃষিকাজে নামতে হয় তাকে। সে বছরই হঠাৎ এক দিন পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। তাকে হারাতে হয় বাম পা। এরপর থেকে পঙ্গু জীবন শুরু। তবুও তিনি থেমে যাননি। পঙ্গুত্ব বরণ করেও কৃষিকাজ চালিয়ে গেছেন।

পরে ২০০৮ সালে স্থানীয় মাঝিবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে ছোট্ট আকারে চা-পান-বিড়ির দোকান শুরু করেন। এভাবে চলে বেশ কয়েক বছর। এর মধ্যে মনে ইচ্ছা জাগে জনসেবা করার। ২০১২ সালে আড়পাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচন করেন। জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হন লিটন মিয়া।

মুঠোফোনে লিটন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউপি সদস্য থাকাকালীন জনগণের জন্য কাজ করেছি। পঙ্গু অবস্থায় ইউপি নির্বাচনে সদস্য হয়ে জনগণের পাশে থেকেছি। কিন্তু বর্তমানে ভাগ্য আমাকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি এখন অসহায় জীবনযাপন করছি। ভাত-কাপড়ের অভাবে আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জমি-জমা নেই। ঘর নেই। জরাজীর্ণ জায়গায় বসবাস করতে হচ্ছে। আমার একটা ঘর দরকার। সরকার যেন আমার দিকে নজর দেন।

জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে মো. লিটন মিয়া। পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার দুটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। বড় মেয়ের নাম লিজা আক্তার (০৯)। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট মেয়ে লিমা (০৬) প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network