২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

জীবননগরের সীমান্ত ইউপি সচিবের অনিয়মের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪) দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ এলাকার শত শত সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে বৈষম্য দূরীকরণে ইউনিয়ন পরিষদে সেবামূলক কাজের তালিকা প্রকাশের জন্য বলা হলে ১মাসের মধ্যেও ইউপি সচিব শাহিন মোল্লা তা প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নাগরিক সনদপত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, টিসিবির কার্ড নিয়ে দলীয়করণ করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক। এসময় সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আলাউদ্দিন, সাবেক ইউনিয়ন আমির মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, সাবেক আমির আতিয়ার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসানুজ্জামানসহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত ইউনিয়নের আমির মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহিন মোল্লা, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গণি, সাধারণ সম্পাদক বাদল হোসেন টিসিবির কার্ড নিয়ে বৈষম্য করছে। ইউনিয়নে যে পরিমাণে টিসিবির কার্ড আছে, তার থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার নিকট তারা ৫% দিবে বলে জানিয়েছেন। এমন কী সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে যে সমস্ত ইউপি সদস্য আছে তাদের কাউকে কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। সচিব তাদের ভয়ে জামায়াতে ইসলামী ও সাধারণ মানুষের সাথে বৈষম্য করেছেন। এটা ঠিক না, এটা খুব দুঃখজনক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ইউপি সচিবকে দ্রুত এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এ ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোনো দলীয়করণ করা যাবে না। কেউ দলীয়করণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জামায়াতে ইসলামী কোনো টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও লুটতরাজ করে না। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর হুকুম মেনে কাজ করে। তাই যারা এ ধরনের বৈষম্য করছেন তাদের হুশিয়ার করা হলো। যদি কোনো বৈষম্য করা হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরজাম হোসেন জানান, টিসিবির কার্ডের বিষয়ে আমার বা মেম্বারদের সাথে কোনো আলোচনা না করে তারা নিজেদের মত তালিকা প্রস্তুত করেছে। সীমান্ত ইউপি সচিব শাহিন মোল্লা বলেন, টিসিবির কার্ড নিয়ে আমি কোনো দলীয়করণ করি নাই। দুই পক্ষকে ডেকে একটা সমাধান করার জন্য চেষ্টা করা হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসে না। আবার জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসে না। তবে দুই পক্ষই তালিকা দিয়েছেন। তালিকার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

এ বিষয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গণির সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network