পবিত্র রমজান মাস ইবাদতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। সে কারণে রোজা রাখার সময়েরও পরিবর্তন হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের পার্থক্য দেখা দেয়। তাই রোজা রাখার সময়ও কমবেশি হয়।বিষুবরেখার কাছের দেশগুলোতে অল্প সময় রোজা রাখতে হয়। অপরদিকে উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে ঋতুর উপর নির্ভর করে রমজানের সময় ১৭ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে।সৌদি আরব এবং কাতারের মতো দেশগুলো এবার পবিত্র মাস রমজান মাসে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা রোজা পালন করবেন।
গ্রিনল্যান্ড এবং আলাস্কার মতো যেসব দেশে সূর্য কখনও অস্ত যায় না, এসব দেশের মুসলমানদের মক্কা ও সৌদি আরবের সময় অনুপাতে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামিক স্কলাররা। কারণ, এটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান।
দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে
হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড (১৭ ঘণ্টা ৫ মিনিট); নুউক, গ্রিনল্যান্ড (১৭ ঘণ্টা); গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট); অটোয়া, কানাডা (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট); জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট); রোম, ইতালি (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট); মাদ্রিদ, স্পেন (১৬ ঘণ্টা); লন্ডন, যুক্তরাজ্য (১৬ ঘণ্টা); প্যারিস, ফ্রান্স (১৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট); রেকজাভিক, আইসল্যান্ড (১৫ ঘণ্টা)।
কম সময় রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড (১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট); পুয়ের্তো মন্ট, চিলি (১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট); করাচি, পাকিস্তান (১২ ঘণ্টা); বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনা (১২ ঘণ্টা); কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট); নয়া দিল্লি, ভারত (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট); জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট); দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৩ ঘণ্টা); নাইরোবি, কেনিয়া (১৩ ঘণ্টা)।