আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
আপডেট নিউজ :: ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সাইমন ইসলাম সিয়ামকে (১৭) পটুয়াখালীতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গ্রেপ্তাররা হলেন— হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানাধীন উত্তর সুবিদখালী এলাকার আ. সালামের ছেলে মো. রাইয়ান এবং তার সহযোগী একই থানাধীন ডিবুয়াপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম পিন্টুর ছেলে মো. রাশেদ।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ বরিশালের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।
মামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাইমন ইসলাম সিয়াম গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়া এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে।
মঙ্গলবার সে নানাবাড়ি থেকে মির্জাগঞ্জে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন বিকেলের দিকে খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা সুবিদখালী সরকারি কলেজের উত্তর পাশে বালুর মাঠে যায়।সেখানে যাওয়ার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত স্থানীয় বখাটে কয়েকজন যুবক মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে সিয়াম ও মামুনের কাছে টাকা দাবি করে।এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হলে সিয়াম ও মামুনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় লাঠি দিয়ে কলেজছাত্র সিয়ামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করলে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে অভিযুক্তরা আহত দুজনকে নিজেদের মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সিয়ামের খালাতো ভাই মামুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আবদুর রহমান শামীম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সিয়ামের মৃত্যু হয় আর আহত আবদুল্লাহ আল মামুনের (১৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আটক রাইয়ানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা মো. বাছেদ তালুকদার (জুয়েল) মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. সালাম জানান, মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।র্যাব-৮ বরিশালের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান জানান, সিয়ামের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে। সম্মিলিত অভিযানে ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাই পাড় এলাকা থেকে রাইয়ান ও রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

